জয়পুরহাটের আক্কেলপুর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ গৌতম কুমার মন্ডলের বিরুদ্ধে শিখন ও শেখার উৎপাদন সরবরাহের দরপত্রে পিপিআর ও ঠিকাদারি আইন ভঙ্গ করে তৃতীয় দরদাতাকে কাজ দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন সর্বনিম্ন দরদাতা দুই ঠিকাদার। এ ঘটনায় তারা দুই ঠিকাদার আইনজীবীর মাধ্যমে অধ্যক্ষকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন। একই ঘটনায় তারা কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছেও লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা গেছে, ডাকযোগে গত ১৮ জুন লিগ্যাল নোটিশ ও ২১ জুন মহাপরিচালকের লিখিত অভিযোগ পাঠানো হয়। লিগ্যাল নোটিশের অনুলিপি কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের মহাপরিচালক ও বগুড়ার সমন্বিত দুর্নীতি দমন সমন্বিত কার্যালয়ে দেয়া হয়েছে।
নোটিশ ও লিখিত অভিযোগ দেয়া দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে, আক্কেলপুর পৌরশহরের টিঅ্যান্ডটি পাড়া মহল্লার মোর্সাস এম কেরামত আলীর মালিক কেরামত আলী ও জয়পুরহাট শহরের বিশ্বাসপাড়া মহল্লার ইজি প্ল্যানের মালিক লাইলি বেগম।
জানতে চাইলে অধ্যক্ষ গৌতম কুমার মন্ডল লিগ্যাল নোটিশ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তবে এ বিষয়ে কথা বলতে চাননি।
লিগ্যাল নোটিশ ও লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ‘চলতি বছরের ২ এপ্রিল মিনিস্ট্রি অব এডুকেশন ডিরেক্টর অব টেকনিক্যাল এডুকেশন সংস্থার অধীনে আক্কেলপুর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ গৌতম কুমার মন্ডল শিখন ও শেখার উপাদান সরবরাহের দরপত্র আহ্বান করেন। এম কেরামত আলী ও লাইলী বেগম দরপত্র দাখিল করেন। তারা দুজন সর্বনিম্ন দরদাতা ছিলেন। কিন্তু তাদের কাজ দেয়া হয়নি। অধ্যক্ষ গৌতম কুমার মন্ডল তৃতীয় দরদাতার সঙ্গে যোগসাজশ করে তাকে পিপিআর ও ঠিকাদারী আইন ভঙ্গ করে কাজটি দিয়েছেন। এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি করা হয়েছে। বিধি মোতাবেক দরপত্র বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়নি। লিগ্যাল নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে দরপত্র বাতিলের কথা বলা হয়েছে।’
ঠিকাদার এম কেরামত আলী বলেন, ‘আমি সর্ব নিম্ন দরদাতা ছিলাম। আমাকে কাজটি দেয়া হয়নি। সেই ক্ষেত্রে দ্বিতীয় দরদাতার কাজটি পাওয়া কথা ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় দরদাতাকে কাজটিও দেয়া হয়নি। তৃতীয় দরদাতাকে কাজটি দেয়া হয়েছে। এছাড়া ছাপা পত্রিকায় দরপত্র বিজ্ঞপ্তি দেয়া কথা, সেটিও করেননি অধ্যক্ষ। দরপত্রে বড় ধরণের অনিয়ম করা হয়েছে। এটাও একটি বড় অনিয়ম। ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হওয়ায় আইনজীবীর মাধ্যমে অধ্যক্ষকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি।’
একই কথা বলেছেন ইজি প্ল্যান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক লাইলি বেগমও।
জানতে চাইলে আক্কেলপুর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ গৌতম কুমার মন্ডল বলেন, ‘লিগ্যাল নোটিশ পেয়েছি। এটা নিয়ে আপনার কী কাজ? দরপত্রের বিষয়ে কোনো কথায় বলব না।’