শ্রম আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্য যথারীতি কার্যক্রম শুরু হয়। এরই মধ্যে দুই পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় শুরু হয়। গড়ায় ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন ও কলকারখানা প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের আইনজীবীর মধ্যে কথা কাটাকাটিতে। এ কারণে এজলাস থেকে নেমে চলে গেছেন বিচারক।
বুধবার (১১ অক্টোবর) ড. ইউনূসের শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় ৭ম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল।
এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। গত ৫ অক্টোবর আইনজীবী এবং গ্রামীণ টেলিকমের দুই কর্মকর্তাসহ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যালয়ে অর্থপাচার মামলায় হাজির হন ড. ইউনূস।
ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, গ্রামীণ টেলিকম সামাজিক ব্যবসার একটি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি ও শিল্প-কলকারখানা গড়ে তোলে বেকারত্ব দূর করা। এটাই ড. ইউনূসের থিওরি অনুযায়ী মূল্য উদ্দেশ্য। এতে বলা আছে, কেউ কোনো মুনাফা নেবে না, এই মুনাফা সমাজের উন্নয়নের জন্য ধারাবাহিকভাবে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে এবং বেকারত্ব দূর করা হবে।
গ্রামীণ টেলিকমের ১০৬ কর্মচারী শ্রম আদালতে মামলা করেছিলেন। এই মামলা ট্রেড ইউনিয়ন শ্রম আদালতে গোপন করে হাইকোর্টে এসে একটি মামলা করল। কোম্পানি আইনের ২৮ ধারায় রয়েছে, যারা সমাজের কল্যাণের জন্য কাজ করবে, সেটির মুনাফা দেয়া নিষিদ্ধ। এ কারণে গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানি আইনের এই ধারায় একটি শীর্ষ প্রতিষ্ঠান। এর মুনাফা দেয়া নিষিদ্ধ। এই কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি আইনে। আর লেবার কোর্টের দায়িত্ব হচ্ছে, এই কোম্পানিতে যেসব শ্রমিকরা কাজ করবেন তাদের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা দেখভাল করা।
গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ড. ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুদক মামলাটি করে চলতি বছরের ৩০ মে। এ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনকে তলব করে দুদক। মামলার চার্জশিট দেওয়ার আগে তদন্ত পর্যায়ে এ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।