ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা খোলা চিঠিকে দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপের শামিল বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন।
সোমবার নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বর্তমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি লেখেন ১৬০ বিশ্বনেতা। এদের মধ্যে রয়েছে শতাধিক নোবেল বিজয়ীসহ রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক, ব্যবসায়ী, শিক্ষাবিদ ও শিল্প-সাহিত্য অঙ্গনের ব্যক্তিরা।
ওই চিঠির প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতের মামলা নিয়ে মন্তব্য করা সমীচীন হয়নি। এই চিঠি বিচারাধীন কোনো প্রক্রিয়াতে হস্তক্ষেপ করার শামিল।
এই ধরনের চিঠির মাধ্যমে একটি স্বাধীন দেশের আদালতের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন না বলেও মন্তব্য করেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা নিয়ে আলোচনায় রয়েছেন গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহম্মদ ইউনূস। গ্রামীণ টেলিকমের ১০১ শ্রমিক-কর্মচারীর চাকরি স্থায়ী না করা, শ্রমিকদের জন্য তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন না করা এবং লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেয়ার কথা থাকলেও তা না দেয়ার অভিযোগে শ্রম আদালতে ইউনূসের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। আর এরি মধ্যে মামলার বিচার কাজ বন্ধ করতে সরকার প্রধানকে চিঠি পাঠানো হলো।
তাদের পাঠানো ওই চিঠিকে ‘নজিরবিহীন’ আখ্যা দিয়ে এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, তারা একটি স্বাধীন দেশের সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন না। এ চিঠি দুঃখজনক।
এদিকে খোলা চিঠির প্রতিক্রিয়া মামলা সংশ্লিষ্ট সিনিয়র আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান বলেছেন, ড. মুহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করতে প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বনেতাদের দেওয়া চিঠি বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ।
তিনি বলেন, বিশ্ব নেতারা বাংলাদেশের আইন, বিচার বিভাগকে না জেনে, পর্যালোচনা না করে অযাচিতভাবে বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ করছেন। তারা আদালতে ড. ইউনূসের মামলা নিয়ে এত মাতামাতি করছেন কেন আমার বুঝে আসে না।