ডাক বিভাগকে সাড়ে ৫ কোটি টাকা রাজস্ব দিলো নগদ - দৈনিকশিক্ষা

ডাক বিভাগকে সাড়ে ৫ কোটি টাকা রাজস্ব দিলো নগদ

দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক |

দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক: দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলাদেশ ডাক বিভাগের সঙ্গে রাজস্ব ভাগাভাগি করেছে। ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের আয় থেকে ৫ কোটি ৫১ লাখ ৩৭ হাজার ৫৫৮ টাকার রাজস্ব ডাক বিভাগকে বুঝিয়ে দিয়েছে নগদ।

বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে নগদ কর্তৃপক্ষ ডাক বিভাগের প্রাপ্য রাজস্বের চেক হস্তান্তর করে। অনুষ্ঠানে নগদ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী তানভীর এ মিশুকের কাছ থেকে চেক গ্রহণ করেন ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) তরুণ কান্তি সিকদার। এ সময় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং নগদ লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলমসহ দুই প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নগদ লিমিটেড ও ডাক বিভাগের চুক্তি অনুযায়ী, নগদের সেবা থেকে মোট আয়ের ৫১ শতাংশ রাজস্ব পায় বাংলাদেশ ডাক বিভাগ, বাকি ৪৯ শতাংশ রাজস্ব পায় নগদ লিমিটেড। এর আগে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে ১ কোটি ১২ লাখ টাকা, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে ৩ কোটি ৩১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৭৭ টাকা এবং ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে ৪ কোটি ৫০ লাখ ৪৬ হাজার টাকা রাজস্ব ডাক বিভাগকে বুঝিয়ে দিয়েছে নগদ লিমিটেড।

অনাড়ম্বর এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল সেবা হিসেবে নগদের ভূয়সী প্রশংসা করেন জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি মনে করেন, এই মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের কারণে দেশ ডিজিটালাইজেশন থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে অনেকটাই অগ্রগামী হচ্ছে। এ ছাড়া খুব দ্রুতই যাত্রা শুরু করতে যাওয়া নগদ ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি আশা প্রকাশ করেন, নগদ ডিজিটাল ব্যাংক দেশকে ক্যাশলেস সোসাইটিতে পরিণত করার দিকে এগিয়ে নেবে।  

চেক হস্তান্তর শেষে নগদ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘আমরা সবসময়ই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে থাকি। আমরা ডাক বিভাগের ডিজিটাল সেবা হিসেবে যাত্রা শুরু করেছি। সে জন্য চুক্তি অনুযায়ী ডাক বিভাগের সঙ্গে রাজস্ব ভাগাভাগি করি আমরা। আশা করি, আমাদের পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ আরো দীর্ঘায়িত হবে এবং আরো অনেক দুয়ার উন্মোচন হবে।’

২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের মার্চে যাত্রার পর থেকেই সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে নগদ। পিছিয়ে পড়া মানুষকে অর্থনৈতিক অন্তৰ্ভুক্তিতে এনে দেশের ডিজিটাল আর্থিক খাতে বিপ্লব ঘটিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এখন দেশের অন্যতম শীর্ষ এই মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক সাড়ে ৯ কোটির ওপরে। প্রতিষ্ঠানটি এখন গড়ে দৈনিক এক হাজার ৮০০ কোটি টাকা লেনদেন করে থাকে। 

নগদ দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য স্মার্ট ফোনের জন্য ই-কেওয়াইসি ও বাটন ফোনের জন্য *১৬৭# সেবা উদ্ভাবন করে। পাশাপাশি সর্বনিম্ন ক্যাশ আউট চার্জসহ অত্যাধুনিক সব সেবার মধ্য দিয়ে আর্থিক খাতে পরিবর্তন ঘটিয়েছে নগদ। এর পাশাপাশি নগদ অত্যাধুনিক সাইবার নিরাপত্তার মাধ্যমে গ্রাহকের তথ্য ও অর্থের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদান করছে। 

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা উপবৃত্তি থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা তহবিল, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা খাতের বিভিন্ন সহায়তা ও ভাতার টাকা অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে উপকারভোগীদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে নগদ। সবমিলিয়ে ২৭টি মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিতরণের দায়িত্ব পালন করছে এই প্রতিষ্ঠানটি।  

 

সিটি কর্পোরেশন এলাকাভূক্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ - dainik shiksha সিটি কর্পোরেশন এলাকাভূক্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ দেশের সব ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসা বন্ধের নির্দেশনা - dainik shiksha দেশের সব ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসা বন্ধের নির্দেশনা সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ - dainik shiksha সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজসমূহ অনির্দিষ্টকাল বন্ধ - dainik shiksha জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজসমূহ অনির্দিষ্টকাল বন্ধ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকাল বন্ধ - dainik shiksha সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ১৮ জুলাইয়ের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা স্থগিত - dainik shiksha ১৮ জুলাইয়ের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা স্থগিত আতঙ্কে হল ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা - dainik shiksha আতঙ্কে হল ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে ঢাকা কলেজের সামনে সংঘর্ষে নিহত শিক্ষার্থীর পরিচয় মিলেছে - dainik shiksha ঢাকা কলেজের সামনে সংঘর্ষে নিহত শিক্ষার্থীর পরিচয় মিলেছে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0034110546112061