নানা কর্মসূচি নিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় গাজীপুরের ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ডুয়েট) মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। শুক্রবার দিবসটি উপলক্ষ্যে সূর্যোদয়ের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন, প্রশাসনিক ভবন ও হলগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির শুরু হয়।
সকাল ৮ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের দেয়ালে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স এসোসিয়েশন, ছাত্র সংগঠন, কর্মচারী সমিতিসহ বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি বিজয় শোভাযাত্রা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।
বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভার বক্তব্যে উপাচার্য ড. এম হাবিবুর রহমান বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শৈশব থেকেই বাঙালি জাতিকে চরম বৈষম্যের হাত থেকে মুক্তির জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। তাঁর সারাজীবনের সংগ্রাম ও ত্যাগের ফসল আমাদের এ স্বাধীন বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু যে আদর্শ বা ব্রত নিয়ে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, সেই আদর্শ তথা সোনার বাংলা গড়ে তোলা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সত্যিকার অর্থে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হতে হলে তাঁর আদর্শ ও দর্শনকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক ও বৈষম্যহীন স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যেতে হবে। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য সবাইকে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
তিনি বিজয়ের এই মাসে ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতা ও মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের প্রতি বিনম্রর শ্রদ্ধা জানান।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য সবাইকে শপথ নেয়ার আহ্বান জানান। এ সময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, রেজিস্ট্রার, অফিস প্রধানরা এবং শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে দুপুরে জাতির শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে বিশেষ মোনাজাত, মন্দির ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা, রচনা প্রতিযোগিতা এবং বিকেলে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী হয়। উল্লেখ্য, বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস সেজেছে বর্ণিল আলোকসজ্জায়।