ডেঙ্গু প্রতিরোধে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) প্রশাসন। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) থেকে মশক নিধন, মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস এবং সচেতনা বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর। সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আনাচকানাচে মশক নিধনে স্প্রে করা শুরু করে বরিশাল সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। এর আগে গত রোববার দৈনিক আমাদের বার্তায় ‘ডেঙ্গু রোধে উদ্যোগ নেই ববির’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. খোরশেদ আলম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে মশক নিধনে স্প্রে করা শুরু হয়েছে। বিগত দিনেও তারা স্প্রে করতেন কিন্তু বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে যেনো নিয়মিত স্প্রে করা হয় সেজন্য তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। এ ছাড়া ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই শিক্ষক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আরো বলেন, শিক্ষার্থীরা জমায়েত হয় এমন স্থানে এবং হলগুলোতে দ্রুতই ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক পোস্টারিং ও ক্যাম্পেইন করা শুরু হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস করার উদ্যোগ নেয়া হবে। তবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত সচেতনতা বেশি জরুরি বলে জানান এই শিক্ষক।
ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবে মশা নিধন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশ দিয়েছিলো মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। গত ১৩ সেপ্টেম্বর মাউশির নির্দেশনা বাস্তবায়নে কঠোর নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু গত রোববার পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে কোনো সচেতনতা কার্যক্রম চোখে পড়েনি ডেঙ্গু প্রতিরোধে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র মেডিক্যাল সেন্টারে গিয়ে চোখে পড়েছিলো ডেঙ্গু ঝুঁকিতে থাকা শিক্ষার্থীদের সেবা প্রদানের অপ্রতুলতার চিত্র।
বিশ্ববিদ্যালয়টির হলগুলোতে প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী বাস করলেও কোথাও ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কোনো পোস্টারের দেখা মেলেনি। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দাবি থাকলেও মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংসে পুরো ক্যাম্পাসের কোথাও ছিলো না কোনো উদ্যোগ। মেডিক্যাল সেন্টারে রয়েছে মাত্র দুটি বেড। ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে শিক্ষার্থীদের দেবার জন্য সাধারণ প্যারাসিটেমল ছাড়া নেই আর কোনো ওষুধ।