তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজধানী তেজগাঁও এলাকার ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) শিক্ষার্থীদের মধ্যে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। রোববার রাতে সংঘর্ষে অন্তত ৩৭ জন আহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, রাত ১০টার দিকে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের লতিফ হল ও বুটেক্সের আজিজ হলের শিক্ষার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয় পক্ষ লাঠিসোটা নিয়ে সড়কে নেমে আসেন। সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় আহতদের মধ্যে ২৯ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী যায় ঘটনাস্থলে।
রাত ১২টায় সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বেগুনবাড়ী পোস্ট অফিস থেকে লাভ রোড পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ করে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। লাঠিসোটা তাদের হাতে ছিলো। সংঘর্ষের সময় প্রথমে পুলিশ উপস্থিত হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়নি। পুলিশ কিছুটা পিছু হটে। পরে সেনাবাহিনী যায় সেখানে।
সংঘর্ষের কারণ সম্পর্কে নানা তথ্য পাওয়া গেছে। একটি সূত্র বলেছে, চা পান করা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বুটেক্সের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, পলিটেকনিকের লতিফ হলের ছাত্রদলের কয়েকজন আজিজ হলে এসে রাজনৈতিক তৎপরতা চালালে উত্তেজনা শুরু হয়। তবে পলিটেকনিকের কয়েকজন জানান, লতিফ হল থেকে চার-পাঁচ শিক্ষার্থী আজিজ হলে গেলে তাদের মারধর করা হয়। অন্যরা কোনো রকমে বেরিয়ে এলেও একজনকে আটকে রাখা হয়। এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে।
রাত পৌনে ১টায় ডিএমপির শিল্পাঞ্চল জোনের সহকারী কমিশনার রব্বানী হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংঘর্ষের কারণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঝামেলা চলছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।
আহত শিক্ষার্থীদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়াদের মধ্যে আছেন ইমন, উৎসব, আজাদ, বুলবুল, প্রশান্ত, শিশির, তৌফিক, রুদ্র, আনান, জুনায়েদ, সমিক, ইমন, রাকিব, নাহিদ, ইমন, প্রবাল, রমজান, মিঠুন, ইমরান, নাদিম, ফাহাদ, খালেক, সোহান, আমিন, রিফাত বিশ্বাস, তপু, মেহেদী, পার্থ ও হাসান।