সরকারি চাকরিতে কোটা সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করার প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বৈষম্যমূলক সর্বপ্রকার কোটা প্রত্যাহারের এক দফা দাবিতে বুধবার (১০ জুলাই) ৪র্থ দিনের মতো চলমান ট্রেন থামিয়ে আন্দোলন করেন বাকৃবি শিক্ষার্থীরা।
কোটা সংশ্লিষ্ট আন্দোলনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল ১০টায় বাকৃবির মুক্তমঞ্চ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি আব্দুল জব্বার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এদিন বেলা ১১টায় ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জগামী তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকে দেন তারা। ট্রেন অবরোধ করে আব্দুল জব্বার মোড় সংলগ্ন রেললাইনে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে ইরান মিয়া জানান, সংসদে আইন পাস করে সরকরি চাকরির সব গ্রেডে শুধু পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ কোটা রেখে সবধরনের বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করতে হবে। এই দাবি পূরণ না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ কার্যক্রম চলবে। রায় স্থগিত করে শিক্ষার্থীদের ধোঁকা দেয়া চলবে না। ছাত্রসমাজ কোনো ধোঁয়াশার মধ্যে থাকবে না। আমরা সুস্পষ্ট রায় চাই।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের জন্য ছাড়া আর কোনো কোটা রাখার প্রয়োজনীয়তা নেই। সরকারি চাকরিতে মেধাবীদের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। আমরা চাই দেশ চালনার কান্ডারিদেরকে মেধার যাচাইয়ের মাধ্যমে বাছাই করা হোক।
দিনব্যাপী ট্রেন অবরোধ করে রাখায় দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। ট্রেনযাত্রী ও টাঙ্গাইলের গোপালপুরের বাসিন্দা হামিদা বেহম বলেন, আমার মেয়ের শ্বশুরবাড়ি জামালপুর। মেয়ে মারা গিয়েছেন। নাতী-নাতনিদের কান্না কানে বাজছে।
তবে যাত্রীদের কথা ভেবে জরুরি প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কাজে যাত্রীদের ময়মনসিংহ শহরে পৌঁছে দেয়ায় সহযোগিতা করছেন শিক্ষার্থীরা।