বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে অসহযোগ আন্দোলনের দ্বিতীয় দিন সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকার সড়কগুলো ফাঁকা দেখা গেছে। সকাল থেকে রাস্তায় গণপরিবহন একেবারেই দেখা যায়নি। রিকশা, মোটরযুক্ত রিকশা আর ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে লোকজন গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। তবে বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনের সতর্ক অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
উত্তরা ও বিমানবন্দর থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত সড়কে পর্যন্ত, মোহাম্মদপুর, গাবতলী, আসাদ গেট, ফার্মগেট, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, গুলিস্তান, পল্টন, শাহবাগ, তেজগাঁও এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার সকালে বিমানবন্দর থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত সড়কের একটি পয়েন্টেও কোনো ট্রাফিক পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়নি। সকাল পৌনে ৯টা নাগাদ এসব এলাকার দোকানপাট অধিকাংশ বন্ধ রয়েছে।
এদিকে আজ সোমবার ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের। রোববার সন্ধ্যায় ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এতে বলা হয়, ‘পরিস্থিতি পর্যালোচনায় এক জরুরি সিদ্ধান্তে আমাদের ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ৬ আগস্ট থেকে পরিবর্তন করে ৫ আগস্ট করা হলো। অর্থাৎ আগামীকালই সারা দেশের ছাত্র-জনতাকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
শ্রমিক ও নারী সমাবেশ আজ : সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আজ শ্রমিক ও নারী সমাবেশ হবে। রোববার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও মঙ্গলবার ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ পালন করবেন তারা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামের দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সোমবার সারা দেশে শহিদ স্মরণে শহিদ হওয়ার স্থানগুলোয় শহিদ স্মৃতিফলক উন্মোচন করা হবে। বেলা ১১টায় শাহবাগে শ্রমিক সমাবেশ এবং বিকাল ৫টায় শহিদ মিনারে নারী সমাবেশ হবে। একই সঙ্গে সারা দেশে বিক্ষোভ ও গণ-অবস্থান চলবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ছাড়তে হবে ক্ষমতা, ঢাকায় আসো জনতা’ স্লোগান সামনে রেখে মঙ্গলবার ‘লংমার্চ টু ঢাকা’র কর্মসূচিতে সারা দেশের ছাত্র-নাগরিক-শ্রমিকদের ঢাকায় আসার আহ্বান জানাচ্ছি। এদিন দুপুর ২টায় শাহবাগে জড়ো হবেন।
এতে আরও বলা হয়, সব এলাকায়, পাড়ায়, গ্রামে, উপজেলা, জেলায় ছাত্রদের নেতৃত্বে সংগ্রাম কমিটি গঠন করুন। যদি ইন্টারনেট ক্র্যাকডাউন হয়, আমাদের গুম, গ্রেফতার, খুনও করা হয়, যদি ঘোষণা করার কেউ নাও, থাকে একদফা দাবিতে সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত সবাই রাজপথ দখলে রাখবেন এবং শান্তিপূর্ণভাবে অসহযোগ আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন।