শনিবারও কারফিউ থাকছে ঢাকায়। তবে এদিন সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। তবে এই সময়ে দেশের সরকারি-বেসরকারি সব অফিস স্বাভাবিক সময়সূচি অনুযায়ী তাদের কাজ চলমান রাখতে পারবে। তবে শনিবার ছুটির দিন থাকায় বেশির ভাগ অফিসই তাদের নিয়ম অনুযায়ী বন্ধ রয়েছে।
সবশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীতে এ ঘোষণা দেয়া হয়েছ।
গত মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, পরিস্থিতি আরো স্বাভাবিক হলে কারফিউ পুরোপুরি তুলে নেওয়া হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা অন্দোলনে শিক্ষার্থীদের যে দাবি ছিল, তার সব মেনে নেওয়ার পরও সহিংসতা থামেনি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা কারফিউ জারি করেছিলাম। আমরা সারাদেশের শান্তিশৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা করেছি। সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। আগামী বুধবার থেকে শনিবার সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। এ ছাড়া কবে থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে সেটি শিক্ষামন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন। টেকনিক্যাল বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন যে, কবে থেকে পরিপূর্ণভাবে ইন্টারনেট চালু হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুলাই শিক্ষার্থীদের ডাকা কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে শিক্ষার্থীসহ বেশ কয়েকজনের প্রাণহানি ঘটে। একের পর এক রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় হামলা হয় এদিন। পরের দিনও সহিংসতা এবং প্রাণহানি চলতে থাকলে সেদিন মধ্যরাত থেকে কারফিউ জারি করা হয়, সারাদেশে মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনী।
প্রথমদিন ঢাকায় দুই ঘণ্টা করে কারফিউ শিথিল রাখা হয় জরুরি কাজ করার জন্য। পরদিন থেকে শিথিলের মেয়াদ বাড়তে থাকে। এর মধ্যে বুধবার থেকে সীমিত পরিসরে অফিস চালু হয়।
শুক্র ও শনিবার ঢাকায় সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল রাখার ঘোষণা আসে বৃহস্পতিবার।
নতুন সপ্তাহে অফিস সময়সূচি চার ঘণ্টার বদলে ছয় ঘণ্টা করা হয়। সিদ্ধান্ত হয়, সকাল ৯টা থেকে অফিস খোলা থাকবে বিকেল তিনটা পর্যন্ত। ব্যাংকে লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত।
অবশেষে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রায় সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে আসায় স্বাভাবিক সময়সূচি অনুযায়ী সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অফিস চালুর সিদ্ধান্ত গৃহীত হলো।