গাজীপুরে গুলিতে নিহত গার্মেন্টস শ্রমিক রাসেল হাওলাদারের গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠিতে এখন শোকের মাতম। কোনো সান্ত্বনাতেই থামছে না সন্তানহারা মায়ের কান্না। শোকাহত স্বজনরা বাড়ির উঠানে ভিড় করছেন মরদেহের অপেক্ষোয়।
নিহত রাসেলের ভগ্নিপতি মো. শাহিন জানিয়েছেন, ঝালকাঠি সদরের বিনয়কাঠি ইউনিয়নের খাগুটিয়া গ্রামের রাসেল হাওলাদার গাজীপুরের পোশাক কারখানা ডিজাইন এক্সপ্রেস লিমিটেডের ইলেকট্রিশিয়ান পদে চাকরি করতেন। গত সোমবার দুপুরে পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনের সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে মারা যান। রাতেই রাসেলের মৃত্যুর খবর পৌঁছায় ঝালকাঠির গ্রামের বাড়িতে।
তার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, মা রাশেদা বেগম কোনোভাবেই মানতে চান না ছেলে মৃত্যুর এমন খবর। বারবারই মূর্ছা যাচ্ছেন তিনি।
পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম সন্তানকে হারিয়ে শোকে ভেঙে পড়েছেন বাবা হান্নান হাওলাদার। তিনি বলেন, একসময় আমি কাঠের ব্যবসা করতাম। বছর দুই তিন আগে তা ছেড়ে দিয়েছি। ছেলের আয়েই সংসার চলে। আমার এখন সব শেষ হয়ে গেছে বলেই হাউমাই করে কেঁদে ওঠেন তিনি।
রাসেলের ভগ্নিপতি মো. শাহিন আরো জানান, ঢাকায় ময়নাতদন্ত শেষে ঝালকাঠির গ্রামের বাড়িতে মরদেহ পৌছাতে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা লাগতে পারে। গ্রামের পারিবারিক গোরস্থানে রাসেলের দাফন হবেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ৫ বছর ধরে ঝালকাঠির রাসেল হাওলাদার গাজীপুরের ওই পোশাক কারাখানায় ইলেকট্রিশিয়ান পদে চাকরি করতেন। তিন ভাই বোনের মধ্যে রাসেল ছিলেন সবার বড় । বোন মিশু আক্তারের বিয়ে হয়েছে। ছোট ভাই নাইম স্থানীয় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়েন।