দৈনিক শিক্ষাডটকম, ঢাবি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাংলোর সীমানার দেয়ালের ভেতরে নবজাতকের লাশ ফেলে যাওয়া সুলতান মিয়াকে (৩৫) আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১ মার্চ) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাকে আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশ। এর আগে সিসিটিভি ফুটেজে তাকে শনাক্ত করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, এক ব্যক্তি উপাচার্য ভবনের বাইরের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় রিকশা থেকে নেমে একটি ব্যাগ ছুঁড়ে দিয়ে পালিয়ে যান। পরে ওই ব্যাগ থেকে নবজাতকের লাশ পাওয়া যায়।
সুলতান মিয়ার বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্ধারে। বর্তমানে রাজধানীর বনশ্রীতে থাকেন বলেও জানা যায়। মৃত অবস্থায় জন্মগ্রহণ করায় নিজের সন্তানকে কোথাও ফেলার জায়গা না পেয়ে বদ্ধ জায়গা মনে করে উপাচার্য বাংলোর সীমানায় ফেলে যান তিনি।
আরও পড়ুন: ঢাবি ভিসির বাংলোতে ছুড়ে দিলো নবজাতকের মরদেহ
শাহবাগ থানার ওসি মোস্তাজিরুর রহমান বলেন, গত বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগী মোসাম্মৎ খাদিজার একটি মৃত মেয়ে সন্তান হয়। পরে খাদিজার স্বামী মো. সুলতান মিয়া তার মেয়ের লাশ হাসপাতাল থেকে বুঝে পেয়ে গোপনে একটি চটের ব্যাগে ভরে উপাচার্যের বাংলো এলাকার সীমানার ভেতর রেখে আসেন।
তিনি আরও বলেন, নবজাতকের মরদেহ পাওয়ার পর পুলিশ একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছে। অপমৃত্যুর মামলায় কাউকে গ্রেফতার করা যায় না বিধায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আইনি পদক্ষেপ নিলে তাকে গ্রেফতার দেখানো হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, পুলিশ আইনী পদক্ষেপ নিচ্ছে। যদি মামলা করতে হয়, তাহলে মামলা করা হবে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের স্টাফ কোয়ার্টার সংলগ্ন উপাচার্য ভবনের সীমানার দেয়ালের ভেতর একটি চটের ব্যাগে এক নবজাতকের মৃতদেহ পান পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। পরে তারা বিষয়টি বাসভবনের কেয়ারটেকারকে জানালে তিনি শাহবাগ থানার পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।