ক্যাম্পাসে লেজুড়বৃত্তিক দলীয় ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ করে ডাকসু ভিত্তিক রাজনীতি চান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একদল শিক্ষার্থী। শনিবার বিকেলে ডাকসু ভবনে রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে এক সংবাদ সম্মেলনে করেন তারা।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো দলীয় রাজনীতি থাকবে না বলে জানান, ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ চাই না। আমরা ক্যাম্পাসভিত্তিক দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ চাই। আমরা ডাকসু কেন্দ্রিক রাজনীতি চাই।
বিজয় ৭১ হলের শিক্ষার্থী নাফিউর রহমান বলেন, আমরা শহীদদের কথা দিয়েছিলাম ক্যাম্পাসে দলীয় ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ করবো। এখানে আর দাসপ্রথা আসতে দেবো না। সবাই চান ডাকসু নির্বাচন। আর ডাকসুর নির্বাচন যেনো নিয়মিত না হয় সেজন্য দলীয় রাজনীতি কাজ করে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন জরিপে দেখেছি ক্যাম্পাসে ৯৫ ভাগ শিক্ষার্থী দলীয় রাজনীতি চায় না। এর থেকে বোঝা যায় তারা যদি ক্যাম্পাসে রাজনীতি চালু থাকে তাহলে বল প্রয়োগের মাধ্যমেই চালু থাকবে। আমরা রাজনীতির বিরুদ্ধে না। যারা করতে চান ক্যাম্পাসের বাইরে কার্যালয়ে গিয়ে করবেন। অমর একুশে হলের শিক্ষার্থী হৃদয় আহম্মেদ বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নয় দফা দাবির মধ্যে ৮ দফায় ছিলো ক্যাম্পাসে দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ। কিন্তু এখন দেখছি অনেক দল লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা শিক্ষকদের রাজনীতিও নিষিদ্ধ চাই। শিক্ষক রাজনীতির জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের শিকার হন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানান, আগামী সিন্ডিকেট মিটিং আমাদের ২ দফা দাবি আদায়ে আজ রোবাবর ভিসি চত্বরে আমরা অবস্থান কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। দাবিগুলো-১. ক্যাম্পাসে দলীয় ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী রাজনীতি নিষিদ্ধ করা। ২. অনতিবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডকসু) নির্বাচন দেয়া।
দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কোনো ধরনের একাডেমিক কার্যক্রমে ফিরবেন না বলেও জানান তারা।