সারাদেশে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং, সন্ত্রাস ও যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ করেছে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট।
সোমবার (৬ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিন থেকে মিছিলটি বের হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে অপরাজেয় বাংলার সামনে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে জোট নেতারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রলীগের নানা অপকর্মের তীব্র প্রতিবাদ জানান।
বক্তারা বলেন, সম্প্রতি ছাত্রলীগ একটি প্রোগ্রাম থেকে র্যাগিংবিরোধী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। অথচ ঢাবিতেই ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের পহেলা বৈশাখ নারীদের ওপর অকথ্য যৌন নিপীড়ন চালানো হয়েছিল। নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গৃহবধূকে পৈশাচিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছিল। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেভাবে র্যাগিং চলছে, আমরা মনে করি ছাত্রসমাজ আন্দোলনের মাধ্যমে এর সমুচিত জবাব দেবে।
গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট নেতারা আরও বলেন, বাংলাদেশে এখন নিপীড়িতদের কথা বলার অধিকার নেই। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা। ছাত্রলীগ এসব ঘটনার হোতাদের পেছন থেকে সমর্থন করে। এরপর তারাই আবার এসব ঘটনার বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন করে।
ছাত্র ফেডারেশন সভাপতি মিতু সরকার বলেন, আমরা গত ১৪ বছরে ছাত্রলীগের পুরুষ গুন্ডাদের দৌরাত্ম্য দেখেছি। এখন তাদের নারী গুন্ডাদের দৌরাত্ম্য দেখছি। সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থী নির্যাতন ও যৌন নিপীড়ন চলছে। ছাত্রলীগ বলছে, ইবি ছাত্রী ফুলপরী নাকি ছাত্রলীগের প্রতিবাদের নাম। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সোহেল বলেন, তানজিম উদ্দিন স্যারের সঙ্গে তারা কীভাবে ষড়যন্ত্র করলো। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেই ফেললেন, তারা রক্তের বদলে রক্ত চান। অথচ একজন শিক্ষককেও দেখলাম না কোনো প্রতিবাদ করতে। কারণ, তাদের মেরুদণ্ড অনেক আগেই ভেঙে গিয়েছে। তারা শুধু লেজুড়বৃত্তি করে টিকে আছে।
বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ থেকে জোট নেতারা ছাত্রলীগের নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।