ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ভাষা আন্দোলনের ৭৫ বছর শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিনব্যাপী সেমিনারের তিনটি অধিবেশনে মোট ১৫টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।
গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার আর্টস মিলনায়তনে এ সেমিনার আয়োজন করে মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র এবং ভাষা শহীদ আবুল বরকত স্মৃতি জাদুঘর ও সংগ্রহশালা।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানে শোষণ, নিপীড়ন ও বঞ্চনার ইতিহাস তৈরি হয়। যার প্রথম আঘাত আসে ভাষার ওপর। ভাষা আন্দোলনে কৃষক-শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের যুক্ত হওয়ার কারণ ছিলো বস্তুগত। যা খুব সহজে প্রবন্ধকার অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান উপস্থাপন করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ভাষা আন্দোলনে রাজনৈতিক নেতা হিসেবে প্রথম গ্রেফতার হন বঙ্গবন্ধু। গ্রেফতার হয়েও জেলে বসে তিনি ভাষা আন্দোলনের দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। বাংলা ভাষা রক্ষার্থে সংগ্রাম করতে ছাত্রনেতারদের উদ্বুদ্ধ ও সংগঠিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু।
বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ও ঢাবি ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারের উদ্বোধনী পর্বে উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অনারারি অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান ‘ভাষা আন্দোলন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিকাশ’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। স্বাগত বক্তব্য দেন ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ শাহরিয়ার রহমান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান মূল প্রবন্ধে বলেন, পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে শাসক গোষ্ঠীর অপরাজনীতি, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসন এবং গণবিরোধী প্রশাসন তৈরি হয়। ফলশ্রুতিতে বাঙালি মধ্যবিত্তের আশা ভঙ্গ হয়, যা পরবর্তীতে গণআন্দোলনে রূপ নেয়।