ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থীর ভর্তি হওয়ার সুযোগ আছে। কিছু শর্ত সাপেক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং তাদের নাতি-নাতনিরা এ কোটায় ভর্তি হতে পারবেন।
বিভিন্ন কোটায় আবেদনকারীদের ফরম পূরণ শুরু হবে আগামী ২১ এপ্রিল।
ভর্তির শর্ত অনুযায়ী, কোটায় ভর্তি প্রার্থীদেরকে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের ডিন অফিস থেকে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র প্রদর্শন পূর্বক নির্ধারিত ফরম সংগ্রহ করতে হবে। কোটার নির্ধারিত ফরম যথাযথভাবে পূরণ করে যে কোটায় ভর্তি হতে ইচ্ছুক তার প্রত্যয়নপত্র/সনদপত্র/প্রমাণপত্রসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিট প্রধানের অফিসে অফিস চলাকালীন সময়ে জমা দিতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/মুক্তিযোদ্ধার নাতি/নাতনীসহ কোটার ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ইস্যুকৃত সনদপত্র অথবা ১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ২০০১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অধীনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিস্বাক্ষরিত মুক্তিযোদ্ধার সনদপত্রের প্রয়োজন হয়।
এখন ভর্তিচ্ছুদের অনেকের প্রশ্ন, এ কোটায় বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং তাদের নাতি-নাতনিদের মধ্যে ভর্তির ক্ষেত্রে কারা অগ্রাধিরকার পান। এর জবাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, এ কোটায় কাউকে অগ্রাধিকার দেয়া হয় না। মুক্তিযোদ্ধা কোটার শর্ত পূরণ করা বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনি, সবাই সমান সুযোগ পান।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক হিসেবে মাহমুদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় কাউকে আলাদাভাবে দেখার সুযোগ নেই। বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনিরা সবাই সমান সুযোগ পান। ভর্তির শর্ত পূরণ হলে নির্ধারিত আসনে তারা সুযোগ পাবেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা আগামী ২৫ এপ্রিল রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে বিস্তারিত ফরম ও বিষয়ের পছন্দক্রম ফরম পূরণ করতে পারবেন। নবীন শিক্ষার্থীদের ক্লাস আগামী ১ জুলাই থেকে শুরু হবে।