দৈনিক শিক্ষাডটকম, ঢাবি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মুক্তিযুদ্ধ, মুজিবনগর সরকার ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে সম্প্রীতির বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার আর্টস মিলনায়তনে ‘মুক্তিযুদ্ধ, মুজিবনগর সরকার ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের ঢাবি শাখার সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার।
এ ছাড়া প্রধান আলোচক হিসেবে ‘সম্প্রীতির বাংলাদেশ’ এর কেন্দ্রীয় আহবায়ক পীযূষ বন্দোপধ্যায়, আলোচক হিসেবে ফার্মেসী অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ বক্তব্য দেন।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক বিমান চন্দ্র বড়ুয়া বলেন, মুক্তিযুদ্ধ, মুজিবনগর সরকার বা সম্প্রতির বাংলাদেশের কথা বলতে গেলে বঙ্গবন্ধুর নাম সবার সামনে আসে। ইতিহাসের রাজনৈতিক প্রজ্ঞাবান ব্যক্তিত্বদের মধ্যে নির্যাতিত, নিপীড়িত ব্যক্তিত্ব বঙ্গবন্ধু ছাড়া পৃথিবীতে অন্য কেউ নেই।
তার আদর্শের দিকে তাকিয়েই আমরা পথচলার শক্তি খুঁজে পাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এ সময় তিনি মুজিবনগর সরকার ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে আলোকপাত করেন এবং এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে তিনি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ছয় দফা, মুক্তযুদ্ধ বাংলাদেশের ইতিহাসের যা নিয়েই কথা হোক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বটতলার কথা উঠে আসে। এগুলোর সঙ্গে মানুষের আবেগ না বরং মানুষের আকাঙ্ক্ষা জড়িত রয়েছে। আমাদের জীবনে এপ্রিল না আসলে ডিসেম্বর আসতো না। মুজিবনগর সরকার গঠিত না হলে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় সহজ ছিলো না। অথচ আজকের দিকে এপ্রিল মাস অনেকটাই অবহেলিত রয়েছে। এই মুজিবনগর সরকার গঠনের মাধ্যমেই বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ নামক একটি দেশের পরিচিতি লাভ করে।
এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সকলের মধ্যে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাবি উপ উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, বাংলাদেশ শান্তি ও সম্প্রীতির দেশ। এই সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি তৎপর রয়েছে। এই অপশক্তিকে মোকাবিলা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে আসার জন্য তরুণ প্রজন্মসহ সকলের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
‘সম্প্রীতির বাংলাদেশ’ এর ঢাবি শাখার আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. বিমান চন্দ্র বড়ুয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম সৌমেত ভারতীয়া, প্রফেসর ড. রীতা চৌধুরী প্রমুখ। এ সময় বিভিন্ন বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।