ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন যৌথ অংশগ্রহণে এক ‘শোক পদযাত্রা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণ থেকে ওই পদযাত্রাটি বের হয়। এর আগে রাত ১২টা ১ মিনিটে মোমবাতি প্রজ্বলনের মাধ্যমে শোকাবহ আগস্টকে স্মরণ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মোমবাতি প্রজ্বলনের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। এর পরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে উপাচার্যের নেতৃত্বে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়। মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি উদ্বোধনের পর ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্টের শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি ও স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্টের সব শহীদের অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ ধারণ করে বঙ্গবন্ধু এই জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে দৃঢ় প্রত্যয় গ্রহণের জন্য বঙ্গবন্ধু মানবিক, অসাম্প্রদায়িক ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন তা বাস্তবায়নে তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। জাতির পিতার স্বপ্ন ও প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টার সফল বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে সম্মিলিতভাবে কাজ করার জন্য তিনি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
উপাচার্য আরো বলেন, সব আন্দোলন, সংগ্রাম ও সংকটে সাহস, উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দিয়ে জাতির পিতাকে বঙ্গবন্ধু হিসেবে গড়ে ওঠার পেছনে অনন্য অবদান রেখেছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। বঙ্গমাতা নারী জাগরণ ও নারী নেতৃত্বের যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত, সমৃদ্ধ ও জ্ঞাননির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখতে দেশের নারী সমাজ এগিয়ে আসবে বলে উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পৃথক অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আকরাম হোসেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নীলুফার পারভীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন এবং সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।