ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষায় কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের প্রতি আসনের জন্য লড়বেন ৪২ ভর্তিচ্ছু। এই ইউনিটের জন্য পৃথক মেধাতালিকা তৈরি করা হবে। আগামীকাল শনিবার (৬ মে) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত চলবে চলতি শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। এ বছর ২ হাজার ৯৩৪টি আসনের বিপরীতে কলা, আইন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে ১ লাখ ২২ হাজার ৮৮২ জন পড়েছে। সেই হিসেবে প্রতি আসনে লড়বেন ৪২ জন ভর্তিচ্ছু। মেধাস্কোরের ভিত্তিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসা শাখা শিক্ষার্থীদের পৃথক মেধাতালিকা তৈরি করা হবে।
মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে পরীক্ষার্থীদের মেধাতালিকা তৈরি করা হবে। এজন্য শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও এইচএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএ-কে ২ দিয়ে গুণ করে এই দুইয়ের যোগফল বহুনির্বাচনী ও লিখিত অংশ মিলিয়ে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের সাথে যোগ করে মোট ১২০ নম্বরের ওপর পরীক্ষার্থীর মেধাস্কোর তৈরি করা হবে। বহুনির্বাচনী অংশে উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের নির্ধারিত আসন সংখ্যার সর্বোচ্চ পাঁচগুণ শিক্ষার্থীর লিখিত অংশের উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হবে।
এদিকে ১০০ নম্বরের মোট পরীক্ষা ৬০ নম্বরের ভেতরে প্রথমত এক শিক্ষার্থীকে সর্বনিম্ন ৪০ পেতে হবে, যা পাস নম্বর হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রার্থী ৪০ নম্বর না পেলে ভর্তির অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। একইসঙ্গে ভর্তি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী বহুনির্বাচনী অংশে উত্তীর্ণ হতে হলে বাংলায় ন্যূনতম ৫ নম্বর, ইংরেজিতে ন্যূনতম ৫ নম্বর, সাধারণ জ্ঞানে ন্যূনতম ১০ নম্বর এবং কমপক্ষে সর্বমোট ২৪ নম্বর পেতে হবে। এ লেভেল সংশ্লিষ্টদের ক্ষেত্রে বাংলা বিষয়ের বিকল্প হিসেবে ইলেকটিভ ইংরেজিতে ন্যূনতম ৫ নম্বর পেতে হবে।
পরীক্ষার্থীকে লিখিত পরীক্ষার অংশে ন্যূনতম ১১ নম্বর পেতে হবে। এর মধ্যে বাংলা অংশে ন্যূনতম ৫ এবং সাধারণ ইংরেজিতে ন্যূনতম ৫ পাওয়া আবশ্যক এ লেভেলের ক্ষেত্রে উল্লেখিত শর্ত সমানভাবে প্রযোজ্য হবে। প্রতি চারটি ভুল উত্তরের জন্য একটি শুদ্ধ উত্তরের নম্বর কাটা যাবে। অর্থাৎ প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০ দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে।
প্রসঙ্গত, চলতি শিক্ষাবর্ষে ঢাবির কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে মোট ২ হাজার ৯৩৪টি আসনের মধ্যে মানবিকের ১ হাজার ৭৪৪ টি, বিজ্ঞান বিভাগের ৯ শত ৮টি এবং বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থী ২ শত ৮২টি আসন রয়েছে।