দেশে প্রথমবারের মতো ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্টে অঙ্গদান করেছিলেন ২০ বছর বয়সী সারাহ ইসলাম। ইতিহাসে নাম লেখানো এই তরুণীকে নিয়ে এবার ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন করা হয়েছে। শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘চ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় সারা ইসলামকে নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। ভর্তি পরীক্ষার ৩৬ নম্বর প্রশ্নটি ছিল সারাহ ইসলামকে নিয়ে। প্রশ্নটি ছিলো- বাংলাদেশে প্রথম মরণোওর কিডনীদাতা কে ছিলেন?
জানা গেছে, জন্মের শুরুতে সারাহ জীবনসঙ্কটে পড়েন। মাত্র ১০ মাস বয়সে দুরারোগ্য ব্যাধি টিউবেরাস স্ক্লেরোসিস নামের দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হন তিনি। দেহকে কুরে কুরে শেষ করে দেয়া এই রোগ নিয়েই পার করেছেন ১৯ বছর। ২০২৩ সালের ১৩ জানুয়ারি তাকে বিএসএমএমইউর আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। ১৮ জানুয়ারি সন্ধ্যা ছয়টায় চিকিৎসকেরা সারাহর ‘ব্রেন ডেথ’ ঘোষণা করেন। ওইদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে অস্ত্রোপচার শুরু হয় সারাহর। চিকিৎসকেরা প্রথমে তার দুটি কিডনি ও দুটি কর্নিয়া অপসারণ করেন।
সারাহর দুটি কিডনির একটি বিএসএমএমইউতে একজন কিডনি রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। অন্য কিডনি বিএসএমএমইউ থেকে কিডনি ফাউন্ডেশনে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে একজন নারীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। এছাড়া সারাহর দুটি কর্নিয়া গত ১৯ জানুয়ারি দুজনের চোখে লাগানো হয়। একজনের অস্ত্রোপচার হয় বিএসএমএমইউতে, অন্যজনের সন্ধানী চক্ষু হাসপাতালে।
সংবাদ সম্মেলনে সারাহ ইসলামের মা শবনম সুলতানা বলেন, সারাহ সত্যি সত্যি স্বর্গীয় সন্তান ছিল। যেখানে যেত, ব্যবহার দিয়ে সবাইকে মোহিত করে রাখত। ও বলেছিল, ‘আমার সবকিছু গবেষণার জন্য দিয়ে দিতে পারো মা। সারাহর ইচ্ছা ছিল, ওর ব্রেন নিয়ে গবেষণা হোক।