কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ডিগ্রি কলেজের তালা ভেঙে অধ্যক্ষের কক্ষে প্রবেশের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা মজিবুর রহমান বঙ্গবাসীর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম।
মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী আওয়ামী লীগের কুড়িগ্রাম জেলা মৎস্যজীবী লীগের সাবেক সভাপতি ও বহিষ্কৃত নেতা এবং সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছিলেন। তবে প্রতিষ্ঠাতা দাবি করেন, আওয়ামী লীগ নেতা মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী বলেন, রফিকুল ইসলাম তিনি কলেজের কেউ নন। আগে অধ্যক্ষ ছিলেন পরে ওই পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তার কাছে কলেজের অধ্যক্ষের রুমের চাবি থাকায় বাধ্য হয়ে তালা কেটে প্রবেশ করা হয়েছে। অভিযোগকারী অধ্যক্ষ পরিচয় দিয়ে ঠিক করেননি।
জানা গেছে, মজিবুর রহমান বঙ্গবাসীসহ কলেজের পাঁচজন শিক্ষকের পরামর্শে গত ৭ ডিসেম্বর দুপুরে কর্তিমারী বাজারের ওয়ার্কশপের লোক ডেকে তালা কেটে কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে প্রবেশ করেন। ওই দিন কলেজ বন্ধ থাকলেও সভা রয়েছে বলে শিক্ষকদের ডেকে আনা হয়। এ সময় কলেজের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি মমতাজ হোসেন লিপিসহ শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন এবং কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল হারানোর আশঙ্কায় রয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) দাবি করে কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, অধ্যক্ষের কক্ষের তালা আমি ভাঙিনি। তবে কলেজের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি মমতাজ হোসেন লিপি ও প্রতিষ্ঠাতা মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী মিলে তালা ভেঙেছেন। তালা ভাঙার বিষয় মুঠোফোনে জানতে চাইলে কলেজের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি ও জাতীয়তাবাদী কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মোছা. মমতাজ হোসেন লিপি বলেন, কলেজের প্রতিষ্ঠাতাসহ শিক্ষক-কর্মচারীর উপস্থিতিতে তালা কেটে অধ্যক্ষের রুমে প্রবেশ করা হয়েছে। তবে রফিকুল কলেজের বর্তমানে অধ্যক্ষ নন। তিনি অধ্যক্ষ পদ হতে পদত্যাগ করেছেন।
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী আনিসুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।