তিন দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন চায় ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা সমিতি - দৈনিকশিক্ষা

তিন দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন চায় ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা সমিতি

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরসহ তিন দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন চায় বৈষম্যবিরোধী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সমিতি।

শনিবার বিকেলে রাজধানীর তোপখানার একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন এ দাবি জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী দাবি বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক মো. মাহাবুব আলম মোল্লা এবং সদস্য সচিব মো. আব্দুল্লাহ আল মমিন উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সরকারের তৃণমূল পর্যায়ের প্রশাসনিক ইউনিট হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদ ১৮৭০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে গ্রামীণ জনগণকে যাবতীয় নাগরিক সেবা প্রদানসহ উন্নয়নমূলক কাজ করে আসছে। কিন্তু গত দুই যুগ ধরে রাজনীতিবিদদের স্থানীয় সরকার সম্পর্কিত বিরূপ মনোভাব ও কেন্দ্রীয় সরকারের একক নেতৃত্বের কারণে প্রতিষ্ঠানটি আদৌ সেভাবে গতিশীল হতে পারেনি। রাজনৈতিক সরকারগুলো নানা ক্ষেত্রে বৈষম্য তৈরি করে স্থানীয় সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ প্রতিষ্ঠানটি শক্তিশালী করা হতে বিরত রেখেছে। স্থানীয় সরকারের গ্রামীণ পর্যায়ের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হলো ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও জেলা পরিষদ এবং নগর এলাকার স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হলো পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন কিন্তু এসব স্থানীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানেও রয়েছে নানা রকম বৈষম্য। ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা সময়মত প্রদানের ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়। বেতনের ৭৫ শতাংশ সরকারি তহবিল থেকে ২৫ শতাংশ ইউপি তহবিল থেকে, উৎসব ভাতার ৫০ শতাংশ সরকারি তহবিল থেকে, ৫০ শতাংশ ইউপি তহবিল থেকে, আনুতোষিক ভাতার ৫০ শতাংশ সরকারি তহবিল থেকে, ৫০ শতাংশ ইউপি তহবিল থেকে, লামগ্রান্ড ৫০ শতাংশ ইউপি তহবিল থেকে এবং বৈশাখী ভাতার ৫০ শতাংশ ইউপি তহবিল থেকে দেয়া হয়। 

এ রকম হযবরল অবস্থায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা হয়রানির শিকার হন। আবার কোথাও কোথাও পরিষদ অংশ তহবিল সংকটের কারণে আদৌ পান না। যেমন পার্বত্য জেলার ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা আনুতোষিক ভাতার হিসাব ‘সরকারি কর্মচারীদের ন্যায় প্রাপ্য হবেন’ বলে বলা হলেও সরকারি কর্মচারীদের চেয়ে ৫০ শতাংশ কম দেয়া হয়, যা চরম বৈষম্যমূলক। ইউনিয়নে কর্মরত অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তা যেমন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাদের চাকরি ১০ম গ্রেড হলেও ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বেতন গ্রেড ১৪তম। ইউডিসিসি এর ৩ জন সদস্য ১০ম গ্রেডের কর্মকর্তা আর সেই কমিটির সদস্যসচিব ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কমকর্তা ১৪তম গ্রেডের কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুসীন হন।

স্থানীয় সরকারের ৪টি স্তরে ‘সচিব’ পদ চিলো। তা পরিবর্তন করে নতুন নাম দেয়া হয়েছে। জেলা পরিষদের ক্ষেত্রে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, পৌরসভার ক্ষেত্রে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা করা হয়। কিন্তু সডনিয়ন পরিষদে ‘সচিব’ পদনাম পরিবর্তন করে ‘ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা’ করা হয়েছে। এখানেও আমরা বৈষম্যের শিকার। বৈষম্যবিরোধী ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা সমিতি দীর্ঘদিন ধরে তাদের পদবি পরিবর্তন, গ্রেড উন্নয়ন ও বেতন-ভাতা সরকারি তহবিল হতে প্রদানের দাবি করে আসছে। বর্তমান পদবি ও গ্রেড পরিবর্তনসহ সরকারি তহবিল হতে বেতন-ভাতা না পাওয়ার আমরা হতাশায় ভুগছি। তাই স্থানীয় সরকারের এ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণের জীবনমান উন্নয়নসহ তাদের দাবি আদায়ের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহদের জন্য আনুরোধ করছি।

জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী প্রশাসনিক কর্মকর্তা সমিতির দাবিগুলো হলো-১. পৌরসভা, সিটি করপোরেশন, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদের ন্যায় ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের পদের নাম নির্বাহী কর্মকর্তা করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের বর্তমান পদনাম স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ), সংশোধিত আইন-২০১৪ এ  ‘ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা’ করা হয়েছে যা চরম বৈষম্যমূলক। ২. নির্বাহী কর্মকর্তা পদবির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ৯ম গ্রেড দিতে হবে। ৩.চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরসহ ডেপুটেশনে সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদে পদায়ন করতে হবে।
তারা আরো বলেন, এ দাবিগুলো যথাযথ বাস্তবায়নে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে বৈষম্যবিরোধী ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা সমিতি কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।

ডিআইএর নতুন পরিচালক অধ্যাপক আবু কাইয়ুম - dainik shiksha ডিআইএর নতুন পরিচালক অধ্যাপক আবু কাইয়ুম জাতীয়করণসহ তিন দাবিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরিদের অবস্থান - dainik shiksha জাতীয়করণসহ তিন দাবিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরিদের অবস্থান এমপিওর দাবিতে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় শিক্ষকদের পদযাত্রা - dainik shiksha এমপিওর দাবিতে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় শিক্ষকদের পদযাত্রা কারিগরিতে ৪০ শতাংশ নম্বরে উপবৃত্তি - dainik shiksha কারিগরিতে ৪০ শতাংশ নম্বরে উপবৃত্তি কাউকে হেনস্তা না করার আহ্বান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের - dainik shiksha কাউকে হেনস্তা না করার আহ্বান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের আটকের পর বিজিবিকে যে প্রলোভন দেখান বিচারপতি মানিক - dainik shiksha আটকের পর বিজিবিকে যে প্রলোভন দেখান বিচারপতি মানিক নয় বছরের শিক্ষিকাকে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হতে বললেন প্রধান শিক্ষক - dainik shiksha নয় বছরের শিক্ষিকাকে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হতে বললেন প্রধান শিক্ষক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.006091833114624