নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার কিছু নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
শনিবার (৮ জুলাই) সকাল ৬টায় উপজেলার ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ ৫২ দশমিক ২৮ সেন্টিমিটার পরিমাপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এ মৌসুমে এই পয়েন্টে সর্বোচ্চ উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হলো।
চলতি বছরেরবর্ষা মৌসুম শুরুর পর থেকে তিস্তার পানি বাড়া-কমার মধ্যে আছে। প্রথম দফা স্বল্প মাত্রার বন্যার পর পানির গতি অনেকটা স্বাভাবিক থাকলেও গত বুধবার ভোর থেকে বাড়তে শুরু করে পানি। এতে ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা পেরিয়ে যায় পানি প্রবাহ। ফলে জেলার পাঁচ উপজেলার তিস্তার চরাঞ্চলে ও তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে ধীরে ধীরে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছেন এলাকার লোকজন। তবে আগাম সতর্কবার্তা না থাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে এলাকাবাসীর।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র বলছে, উজানের ঢল ও ভারী বর্ষণে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সকাল ৬টায় তিস্তার ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি প্রবাহের রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ২৮ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পরে পানি প্রবাহ কমে গিয়ে সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
এ বিষয়ে উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান ও টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ময়নুল ইসলাম জানান, তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে নদীর অববাহিকার ১০টি চরাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া গত কয়েক দিন থেকে নদীর পানি উঠানামায় এসব চরাঞ্চলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফা-উদ-দৌলা বলেন, কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তার নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা এ মৌসুমে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি সর্বোচ্চ বিপৎসীমা অতিক্রম করল। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখায় দ্রুত এ পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।
এছাড়াও পানি বৃদ্ধির ফলে সতর্কাবস্থায় রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলে জানান তিনি।