বাসের ধাক্কায় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে তৃতীয় দফায় বরিশাল পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার বিকেল থেকে অবরোধ শুরু করেন তারা। এ সময় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এর আগে গত বুধবার নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে নিহত হন পরিসংখ্যান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষার্থী মাইশা ফৌজিয়া মিম। এর আগে একই দাবিতে বুধবার রাতে ৫ ঘন্টা এবং গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১০ ঘন্টা মহাসড়কটি অবরোধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
এ সময় জড়িতদের বিচারের দাবিসহ কয়েক দফা দাবি জানান তারা। এর আগে গত বুধবার রাতে মাইশার মৃত্যু হলে ঘাতক নারায়ণগঞ্জ ট্রাভেল নামের বাসটি জ্বালিয়ে দেয়া হয়। পরে টানা পাঁচ ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ ও উপাচার্যের বাস ভবন ঘেরাও করে রাখেন উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, মাইশা মিমকে হত্যা করা হয়েছে। এটি কোনো দুর্ঘটনা নয়, এটা হত্যাকাণ্ড। দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের মাধ্যমে বিচার করতে হবে। নিহত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ, নিরাপদ সড়কসহ বাস মালিককে হাজির করার কথাও জানান তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল বলেন, গতকাল শুক্রবার ঘাতক বাসের মালিক পক্ষ, স্থানীয় বাস মালিক সমিতির নেতারা ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের শিক্ষার্থীদের বসার কথা ছিলো। কিন্তু বাস মালিক নেতারা ক্যাম্পাসে না আসায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পুনরায় সড়কটি অবরোধ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিন বলেন, পুলিশ ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করবে তারা। তাকে ধরার জন্য বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে পুলিশ প্রশাসন। আমরা শিক্ষার্থীদের দাবিসহ মাইশার ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেছি। বাস মালিককে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাজির করা হবে। এছাড়া নিরাপদ সড়ক সহ শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করার ব্যবস্থা করেছি।