সরকারের শিক্ষা বা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দপ্তরের হিসাবের খাতায় থাকলেও এবার ঢাকা দক্ষিণের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সিটি কর্পোরেশনের ট্রেড লাইসেন্সও নিতে হচ্ছে। এর ব্যত্যয় হলে যাবতীয় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা স্থগিত করা হবে। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে শিক্ষামন্ত্রণালয় বা দপ্তরের বাইরে আরো একটি প্রতিষ্ঠানের সক্রিয়তা দৃশ্যমান হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাম্প্রতিক এক আদেশে বলা হয়েছে, কর্পোরেশনের আওতায় যে সব স্কুল, কলেজের নিজ নামে ট্রেড লাইসেন্স নেই তাদেরকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের বাধ্যতামূলক ট্রেড লাইসেন্স প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। নির্ধারিত সময় পার হয়ে যাওয়ায় যেসব প্রতিষ্ঠান তা অনুসরণ করেনি তাদেরকে অচিরেই লাইসেন্স করার তাগিদ দেয়া হচ্ছে। অবশ্য ইতোমধ্যেই অনেক প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স করেছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপারভাইজার মো: কামরুজ্জামান।
এক প্রশ্নের জবাবে দৈনিক আমাদের বার্তাকে তিনি বলেন, অনেক স্কুল কলেজই লাইসেন্স এর কাজ সম্পন্ন করেছে।
ঢাকার কয়েকটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র প্রিন্ট পত্রিকা দৈনিক আমাদের বার্তাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অনেকে এ নিয়ে অসন্তোষের কথাও জানিয়েছেন।
জানা গেছে, নিবন্ধিত এমপিওভুক্ত স্কুলের জন্য ট্রেড লাইসেন্স ফি ধরা হয়েছে সাত হাজার টাকা। নন-এমপিওর জন্য এর পরিমাণ আট হাজার টাকা। অনিবন্ধিত এমপিওভুক্ত স্কুলের জন্য ফি নয় হাজার টাকা। ননএমপিও স্কুলের জন্য দশ হাজার টাকা। নিবন্ধিত কিন্ডার গার্টেনের ফি ৯ হাজার টাকা। অনিবন্ধিত কিন্ডার গার্টেনের
জন্য ফি বারো হাজার টাকা। নিবন্ধিত ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের জন্য ফি দশ হাজার পাঁচশ টাকা। অন্যদিকে অনিবন্ধিত ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের জন্য ফি নির্ধারিত হয়েছে চৌদ্দ হাজার টাকা। নিবন্ধিত কোচিং সেন্টারকে ট্রেড লাইসেন্স ফিস দিতে হবে ১২ হাজার টাকা, আর অনিবন্ধিত কোচিং সেন্টারের জন্য ১৫ হাজার টাকা।বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকে অনুমোদনপ্রাপ্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য পনেরো হাজার টাকা ফি ধরা হয়েছে। মঞ্জুরী কমিশন থেকে অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বা বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা নিয়ে সরকারের নানা পদক্ষেপ রয়েছে। মঞ্জুরী কমিশনও কালো তালিকাভুক্ত করে এসব প্রতিষ্ঠানে ভর্তি না হবার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বেশ কয়েকবার। কিন্তু সিটি কর্পোরেশন তাদের ওই আদেশের চিঠিতে অনিবন্ধিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আঠারো হাজার টাকা ট্রেড লাইসেন্সের ফি নির্ধারণ করেছে।
ট্রেড লাইসেন্স ফি রকেটের মাধ্যমে নিদিষ্ট নম্বরে দিতে হবে। অন্য কারো কাছে লেনদেন না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।