নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তীব্র সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশ থেকে দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করছি আমি। গত ১৫ বছরে আমি দারিদ্র্যের হার শতকরা ৪১ ভাগ থেকে ১৮ দশমিক ৭ ভাগে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। অথচ, দারিদ্র্য বিমোচনে ক্রেডিট দেওয়া হয় মুহাম্মদ ইউনূসকে।’
প্রধানমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার (২৫ জুন) তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সাংবাদিকদের প্রতি প্রশ্ন রেখে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সে (ইউনূস) তো একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির পক্ষে সাংবাদিকরা লিখে কীভাবে?’ এ সময় ড. ইউনূসের সঙ্গে কোনো হিংসা নেই বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
ড. ইউনূসের শাস্তির পেছনে ‘সরকারের কোনো হাত নেই’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আদালত তাকে শাস্তি দিয়েছে। এখানে আমার দোষটা কোথায়? তার (মুহাম্মদ ইউনূস) সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। নোবেল পুরস্কার পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমার মধ্যে কখনও ছিল না, এখনও নেই। আমি জানি এসব পুরস্কার যারা পান, তার পেছনে একটি রাজনীতি থাকে। আমি এগুলো চাই না। অথচ পার্বত্য অঞ্চলে আমি শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছি। শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এটি বিরল ঘটনা। শেখ হাসিনা কারো সঙ্গে জেলাসি (হিংসা) করে না।’
সরকারপ্রধান আরও বলেন, ‘তিনি (ইউনূস) ওয়ান ইলেভেনের সময় একটি রাজনৈতিক দল গঠনেরও উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি ব্যর্থ হলেন কেন? তখন আমার নামে খুনের মামলাও হয়েছিল। হিলারি ক্লিনটনকে সঙ্গে নিয়ে দেশে দারিদ্র্য বিমোচনে প্রকল্প নিলেন। অথচ যারা ঋণ নিয়েছিল, তারা সুদের চাপে আত্মহত্যাও করেছে। আমার প্রশ্ন হলো, তিনি (ইউনূস) দারিদ্র্য বিমোচন করতে পারলেন না কেন?’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে গত ২১ থেকে ২২ জুন নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রীয় সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানা তৃতীয় মেয়াদে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকার গঠনের পর নয়াদিল্লিতে এটিই কোনো সরকারপ্রধানের প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর।