নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য তুহিন রেজাকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)। সিরিজ বোমা হামলায় যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া ওই জঙ্গি ১৮ বছর ধরে পলাতক ছিলেন। তিনি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল দীপ্ত টিভিতে ভিডিও এডিটর হিসেবে চাকরি নিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁও এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। জেএমবির ওই সদস্য ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দের সিরিজ বোমা হামলার দায়ে আদালতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন।
শুক্রবার সকালে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ জঙ্গি তুহিন রেজার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, তুহিন রেজা ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে জেএমবির ঝিনাইদহ সদর শাখায় সদস্য হিসেবে যোগ দেয়। সে ওই শাখার লিফলেট তৈরি, লিখিত প্রচার-প্রচারণার সম্পাদনা, গোপন ও নাশকতামূলক খবরাখবর আদান-প্রদান করা ছাড়াও ভিডিও এডিটিং করে বিভ্রান্তিমূলক প্রামাণ্যচিত্র বানাতো। সে তরুণদের জঙ্গি কাজে উদ্বুদ্ধ করতো। ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে ঝিনাইদহ আদালত চত্বরের সিরিজ বোমা হামলায় উপস্থিত থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে তুহিন। বোমা হামলার পর তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে পালিয়ে ঢাকায় আসে সে।
আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, পরিচয় লুকিয়ে সে প্রথমে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে এবং সবশেষ আরেকটি বেসরকারি টেলিভিশনে ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ করে আত্মগোপনে ছিলো। চাকরি করা অবস্থাতেও জঙ্গিদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতো সে। গোপন খবরের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার তুহিন রেজাকে রাজধানীর তেজগাঁও থেকে গ্রেফতার করা হয়।
তুহিন রেজা বেসরকারি দিপ্ত টিভিতে চাকরি করতেন বলে র্যাবের একটি সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে নিশ্চিত করেছে।
২০০৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ই আগস্ট দেশের ৬৩টি জেলায় একযোগে বোমা হামলা হয়েছিলো। ওই হামলায় দুইজন নিহত ও বহু মানুষ আহত হন। সেদিন একযোগে বোমা হামলার মাধ্যমে বাংলাদেশে নিজেদের সংঘবদ্ধ উপস্থিতির জানান দিয়েছিলো জঙ্গিরা। ওইদিন নিজেদের একটি প্রচারপত্র বা লিফলেটও ছড়িয়ে দিয়েছিল তারা।