দুই বিদ্যালয়ে চাকরি করেন একই শিক্ষক - দৈনিকশিক্ষা

দুই বিদ্যালয়ে চাকরি করেন একই শিক্ষক

দৈনিক শিক্ষাডটকম, দিনাজপুর |

দৈনিক শিক্ষাডটকম, দিনাজপুর: দিনাজপুর চিরিরবন্দরে সরকারি বিধিমালা উপেক্ষা করে শিক্ষক মো. আব্দুর রাজ্জাক চাকরি করছেন দুই প্রতিষ্ঠানে। তিনি এমপিওভুক্ত দুই প্রতিষ্ঠানের একটিতে বাংলার সহকারী শিক্ষক ও অন্যটিতে প্রধান শিক্ষক হিসেবে চাকরি করছেন। তিনি চিরিরবন্দরের জোত সাতনালা গ্রামের বাসিন্দা।

জানা গেছে, আব্দুর রাজ্জাক ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে উপজেলার ফতেজংপুর ইউনিয়নের হাসিমপুর মোল্লা পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। ওই প্রতিষ্ঠান থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক হিসেবে সরকারি বেতন–ভাতাও নিয়মিত পাচ্ছেন। এ ছাড়া নিজেদের প্রতিষ্ঠিত উত্তর সাতনালা নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ও ২০২২ সালে এমপিওভুক্ত হয়। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে আছেন তিনি।

উত্তর সাতনালা নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সভাপতি ও মো. আব্দুর রাজ্জাকের বড় ভাই আব্দুল মান্নান বলেন, দুই বিদ্যালয়ে চাকরি করে ঠিক। তবে সে আমাদের স্কুল থেকে

বেতন ভাতা নেয় না। প্রধান শিক্ষক হিসেব যখন এ স্কুলে জয়েন করে তখন এ স্কুলের বেতন হয়নি। পরে অন্য একটি স্কুলে জয়েন করে। এখন দুই জায়গায় চাকরি করছে। সকালে আমাদের স্কুলে থেকে দুপুরে চলে যায় হাসিমপুর স্কুলে। আমি তাকে চাকরি ছাড়তে বলি না, কারণ সে শুরু থেকে এ স্কুল দেখাশোনা করছে।

উত্তর সাতনালা নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যেকোনো বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হতে হলে এক প্রতিষ্ঠানে ১০ বছর চাকরি করতে হয়। আমাদের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক যেখানে চাকরি করেন সেখানে চাকরির বয়স ১০ বছর না হওয়ায় বিল হবে না। তাই ওই স্কুলে চাকরি ছাড়ছেন না তিনি। স্কুলের সভাপতি প্রধান শিক্ষকের আপন বড় ভাই হওয়ায় এ স্কুলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ করে রাখছেন।

এ বিষয়ে জানতে শিক্ষক মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

হাসিমপুর মোল্লা পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানে আব্দুর রাজ্জাক সহকারী শিক্ষক (বাংলা) হিসেবে কর্মরত। উনি ১০টায় হাজিরা দেয় এবং ৪টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ে অবস্থান করে। তিনি বাড়ির কাছে একটা প্রতিষ্ঠান চলমান রাখছেন। সম্প্রতি এটি এমপিওভুক্ত হয়েছে। তিনি সেখানে কর্মরত আছেন কিনা এটা আমার জানা নেই।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফজলে এলাহী বলেন, হাসিমপুর মোল্লাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে আব্দুর রাজ্জাক চাকরি করেন। তবে উত্তর সাতনালা নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালেয়র প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব আছে তা আমার জানা ছিল না। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বর্তমানে ছাত্রদের নেতৃত্ব দেয়ার কেউ নেই: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী - dainik shiksha বর্তমানে ছাত্রদের নেতৃত্ব দেয়ার কেউ নেই: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী শিক্ষাখাতের নতুন তদবিরবাজ তিতাস! - dainik shiksha শিক্ষাখাতের নতুন তদবিরবাজ তিতাস! শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা চলছে: সমন্বয়ক হান্নান - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা চলছে: সমন্বয়ক হান্নান তদন্ত রিপোর্ট না দিয়েই সটকে পড়ছেন শিক্ষা পরিদর্শকরা - dainik shiksha তদন্ত রিপোর্ট না দিয়েই সটকে পড়ছেন শিক্ষা পরিদর্শকরা বরখাস্ত হচ্ছেন শিক্ষা বোর্ডের সেই সচিব নারায়ণ নাথ - dainik shiksha বরখাস্ত হচ্ছেন শিক্ষা বোর্ডের সেই সচিব নারায়ণ নাথ আমরা চাই না ছাত্রদের কঠোর হয়ে দমন করতে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা - dainik shiksha আমরা চাই না ছাত্রদের কঠোর হয়ে দমন করতে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0038149356842041