নীলফামারী সদর উপজেলার সোনারায় সংগলশী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বাহার উদ্দিন ও সহকারী প্রধান শিক্ষক বিভূতিভূষণ রায় উত্তমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে পদত্যাগের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। এর ফলে সড়কে যানচলাচল বন্ধ যায়, বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নীলফামারী-সৈয়দপুর মহাসড়কের কাছারি বাজার এলাকায় শিক্ষার্থীরা জড়ো হন। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে নানা স্লোগান দিতে থাকেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, সহকারী প্রধানশিক্ষক বিভূতিভূষণ রায় উত্তমের আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি বিগত সময়ে স্কুলের বিভিন্ন কাজের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তারা প্রধান শিক্ষকের কাছে সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের বিষয়টি বলেছেন। কিন্তু প্রধানশিক্ষক তা মেনে নেননি। উল্টো ভয় দেখিয়েছেন তাদের। তারা মনে করছেন দুজন মিলেই বিদ্যালয়ের অনিয়মের জড়িত ছিলেন। তাই তারা দুজনের পদত্যাগ দাবি করছেন।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের কারণে নীলফামারীর সঙ্গে সৈয়দপুর ও রংপুরের যান চলাচল বন্ধ হয়। এতে বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষকে কষ্ট না দিয়ে আন্দোলন করার অনুরোধ করেছেন পথচারী এবং সড়কে আটকে পড়া যাত্রীরা।
আশিকুর রহমান আশিক নামে আটকে পড়া এক যাত্রী বলেন, আমি অফিসে যাব। কিন্তু এক ঘণ্টা ধরে এখানে আটকে আছি। শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই যেতে দিচ্ছে না। এভাবে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করার কোনো মানে হয় না। তাদের দাবি থাকতেই পারে, সেটা সড়ক অবরোধ না করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দিতে পারে। এদের কারণে আমরা সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাহার উদ্দিন বলেন, বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক ও বহিরাগতদের ইন্ধনে শিক্ষার্থীরা এসব করছে। এর আগেও তারা কিছু অযৌক্তিক দাবি জানিয়েছেন তা মেনে না নেয়ায় আজকে তারা এসব করছে। আমি দোষ করলে সেটা নিয়মতান্ত্রিক ভাবে তদন্ত করে শিক্ষা অফিস ব্যবস্থা নেবেন। আমি এই স্কুলে পড়েছি। এরপর সহকারী শিক্ষক ছিলাম। তারপর প্রধান শিক্ষক হয়েছি।
এ বিষয়ে নীলফামারী সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) এম আর সাঈদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ তাদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু শিক্ষার্থী কিছুতেই মানতে চায় না। আমাদের পুলিশ সেখানে এখনো অবস্থান করছে।