প্রতারণা, জালিয়াতি ও তথ্য গোপনের মাধ্যমে এমপিওভুক্তকরণের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়েরকৃত মামলায় সাতক্ষীরা সিটি কলেজের ৫ জন শিক্ষকের মধ্যে ৪ জন আত্মসমর্পণ করেছেন। এদের মধ্যে অসুস্থতাজনিত কারণে একজনের জামিন মঞ্জুর করে অপর ৩ জনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরার বিশেষ জজ আদালতে আসামিরা আত্মসমর্পণ করেন। আদালতের বিচারক চাঁদ মোহাম্মদ আব্দুল আলীম আল রাজী শুনানি তিনজনের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন। তবে, এ মামলার অন্যতম আসামি সাতক্ষীরা সিটি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আবু সাঈদ পলাতক রয়েছেন।
জামিন আবেদন নামঞ্জুর হওয়া আসামিরা হলেন ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক এসএম আবু রায়হান, দর্শন বিভাগের প্রভাষক নাসির আহম্মেদ এবং হিসাব বিজ্ঞানের প্রভাষক অরুন কুমার সরকার।
অসুস্থতার মেডিকেল সার্টিফিকেট বিবেচনা করে আদালত জামিন দিয়েছেন একই মামলার অপর আসামি বাংলা বিভাগের প্রভাষক মো. মনিরুল ইসলামকে।
দুদকের পিপি অ্যাড. মোস্তফা আসাদুজ্জামান দিলু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরা আদালত সূত্রে জানা গেছে, প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরি করে উক্ত চার প্রভাষককে পূর্বের তারিখ দেখিয়ে এমপিওভুক্ত করার মাধ্যমে বেতন ভাতা বাবদ ২০ লাখ ৫৭ হাজার ৩৯৬ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগ সিটি কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ আবু সাঈদসহ আসামিদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক প্রবীর কুমার দাস ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে ৯ মার্চ খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা (৩/২০২২) দায়ের করেন। যা পরবর্তীতে সাতক্ষীরা বিশেষ আদালতে ২/২০২২ মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের খুলনা অফিসের সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায় চলতি বছরের ৫ মে আদালতে ওই পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গত ২৬ অক্টোবর দুদকের দাখিলকৃত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।