শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত দুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। হাড়ের যত্ন নিতে দুধ না খেয়ে কোনও উপায় নেই। দুধের উপকারিতা যে শুধু স্বাস্থ্যরক্ষায় সীমাবদ্ধ, তা কিন্তু নয়। রূপচর্চাতেও কাজে লাগে দুধের সর। কিন্তু দুধ নিঃসন্দেহে শরীরের যত্ন নেয়। অনেকেই হয়তো জানেন না দুধ ত্বকের জন্য একেবারেই উপকারী নয়। ব্রণ, র্যাশ- এমন অনেক ত্বক সংক্রান্ত সমস্যার নেপথ্যে রয়েছে দুগ্ধজাতীয় খাবার। এমনই বলছেন চিকিৎসকরা। দুধ এবং দুধের তৈরি খাবার ত্বকের ওপর কতটা প্রভাব ফেলে?
• দুগ্ধজাত খাবারে যে প্রোটিন থাকে, তা ইনসুলিন ক্ষরণকে প্রভাবিত করে। প্রোল্যাক্টিন, প্রোস্টাগ্লান্ডিনস্ এবং স্টেরয়ডের মতো হরমোনগুলোর ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। গরুর দুধের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য অনেক সময়ে ওষুধ দেয়া হয়। এই দুধ শরীরে প্রবেশ করলে ত্বকে সেবাম নিঃসরণও বেড়ে যায়। ফলে ত্বকে ব্রণ, র্যাশ সহজেই তৈরি হয়।
• বেশির ভাগ দুগ্ধজাত খাবার প্রক্রিয়াকরণ করে তৈরি করা হয়। যে কোনও প্রক্রিয়াজাত খাবারই ইনসুলিন ভারসাম্য নষ্ট করে। শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বেশি থাকলে যে কোনও সংক্রমণ এবং প্রদাহকে বাড়িয়ে তোলে। যেমন ব্রণ, এগজ়িমা, রোসাসিয়া, একান্থসিস নাইগ্রিকানস। এ ছাড়াও, ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়লে ঘা পর্যন্ত হতে পারে।
• অনেকেই আছেন, যাদের দুধ সহ্য হয় না। ‘ল্যাক্টোজ ইনটলারেন্স’-এর সমস্যা নতুন নয়। এই ল্যাক্টোজ আসলে এক ধরনের শর্করা। শরীরে উপস্থিত এক ধরনের উৎসেচক এই শর্করা ভাঙতে সাহায্য করে। কিন্তু যাদের শরীরে এই উৎসেচকের পরিমাণ কম থাকে, তাদের ক্ষেত্রে এই ল্যাক্টোজকে ভাঙা মুশকিল হয়ে যায়। ফলে ত্বক স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে এবং নানা রকম সংক্রমণ দেখা দেয়। তবে দুধ খেলেই যে সকলের ত্বকে এই ধরনের সমস্যা হবে, এমনটা নয়। কিন্তু ত্বকে সুপ্ত অবস্থায় থাকা এমন অনেক সমস্যা বাড়িয়ে তোলে দুগ্ধজাত খাবার।