দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের অভিরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুর্বৃত্তের আগুনে বিদ্যালয় পুড়ে গেছে। গত শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। আগুনে পুড়ে গেছে বিদ্যালয়টির অফিস কক্ষের দাপ্তরিক সব নথিপত্র, আসবাবপত্র, শেখ রাসেল কর্ণার, শ্রেণিকক্ষ এবং সব শিক্ষা উপকরণ। এ ঘটনায় বোরবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
প্রধান শিক্ষক ওবায়দুল ইসলাম বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলা থেকে শিশুদের জন্য বিনামূল্যের পাঠ্যবই তুলে নিয়ে বিদ্যালয়ের পাশের একটি বাড়িতে রেখে আসি। সকালে খবর পাই, আমার বিদ্যালয় আগুনে পুড়ে গেছে। আমি দ্রুত বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখি, বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ এবং প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিকক্ষের সব কাগজপত্র ও শিক্ষা উপকরণ পুড়ে গেছে। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা জানি না। তবে এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে এ বিদ্যালয় নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। বিদ্যালয়টি নিয়ে আদালতে মামলা পর্যন্ত হয়েছে।
প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী আলেয়া বেগম বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে বিদ্যালয়ে আসার সময় শুনি আমাদের বিদ্যালয়টি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা ভয় পেয়ে কান্না করছিলাম। পরে বড় স্যার এসে আমাদের নতুন বই দিয়েছে।
স্থানীয় ব্যক্তি জহুরুল ইসলাম বলেন, সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে হাটতে গিয়ে কাঠ পোড়া গন্ধ পাই। এগিয়ে গিয়ে দেখি বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। রাতের বেলা প্রচন্ড কুয়াশা থাকায় এবং বিদ্যালয়টি লোকালয় থেকে একটু আড়ালে হওয়ায় সবার দৃষ্টির আড়ালে ছিল। তবে যেই এটা করুক কাজটা ভালো করেনি।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল ওয়াকিল বলেন, ওই বিদ্যালয় পরিদর্শন করা হয়েছে। আগুনে অফিসের সব আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। শিক্ষকদের মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণির ৫২ জন শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ে ডেকে তাদের হাতে নতুন শিক্ষাবর্ষের বই তুলে দেওয়া হয়েছে।
বিরামপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত বলেন, অভিরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় বোরবার বিকেলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।