দৈনিক শিক্ষাডটকম, জবি: ছয় বছর বয়স পর্যন্ত চোখের দৃষ্টি শক্তি ঠিকই ছিলো লিজার। এরপরই জীবনে নেমে আসে দুর্বিষহ দিন। চোখে ছানি পড়ায় ধীরে ধীরে দৃষ্টি শক্তি হারাতে থাকেন তিনি। এক চোখের দৃষ্টি পুরোটাই নষ্ট হয়ে যায় তার। এখন অন্য চোখে অল্প অল্প দেখতে পান তিনি। এতেই পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন লিজা। শুক্রবার গুচ্ছভুক্ত চব্বিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের 'সি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় শ্রুতি লেখকের সাহায্য নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারে পরীক্ষা দেন লিজা।
লিজা বলেন, পরীক্ষা ভালো হয়েছে। আশা করি ভালো নম্বর পাবো। আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ৩০৪৬ সিরিয়াল এসেছে। ওখানে মেডিক্যাল টেস্ট হবে একটা। সেটাতে রিপোর্ট হলে ভর্তি হতে পারবো। এছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। তবে কোন বিষয়ে পড়বেন তা নিয়ে এখনো ভাবেননি লিজা।
লিজার বাবা ফেরদৌস মিয়া একটি ছোটোখাটো ব্যবসা করেন। চিটাগং রোডে রয়েছে তার বস্তার ব্যবসা। ফেরদৌস মিয়া জানান, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এই মেয়েকে প্রতিষ্ঠিত দেখতে চান তিনি।, আমার দুই মেয়ে। কোনো ছেলে নেই। আমার এই মেয়েকে আমি নিজের পায়ে দাঁড়াতে দেখতে চাই। ওকে যেন কারো উপর নির্ভরশীল থাকতে না হয়।
লিজার বাবা আরো বলেন, ছোটোবেলা থেকে লিজা মেধাবী। এসএসসিতে জিপিএ ৪.৮৯ পেয়েছিলো, এইচএসসিতে জিপিএ ৫.০০ পেয়েছে। আমার দুই মেয়ের পেছনে আমার সারাজীবন দিয়েছি। আমি তো সারাজীবন বাঁচবো না। আমি চাই আমার মেয়ে একটা সরকারি চাকরি করে সেটেল হোক।