দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে দোয়ার মাধ্যমে রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের প্রধান জামাত শুরু হয়। শেষ হয় সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে।
প্রধান ঈদ জামাতে ইমামতি করেন তেজগাঁও রেলওয়ে জামে মসজিদের খতিব ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সম্পাদক ড. মাওলানা মুশতাক আহমেদ। ঈদ জামাতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, কূটনৈতিকসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষ এ জামাতে অংশ নেন।
ঈদের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে খুতবা দেন ইমাম। এরপর সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির মহামারি থেকে মুক্তিসহ কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত হয়।
মাওলানা মুশতাক আহমেদ মোনাজাতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও সিটি মেয়রসহ দেশ পরিচালনায় নিয়জিত সবার জন্য নেক হায়াত কামনা করেন। এসময় দেশের মানুষের ‘বালা মুসিবত’ থেকে সুরক্ষা চেয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করা হয়।
মোনাজাতে বিশ্বের মুসলিমদের শান্তি কামনার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সদস্য, মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কথা স্মরণ করে তাদের জন্যও আল্লাহর কাছে দোয়া করা হয়।
এর আগে সকাল থেকে বৃষ্টির মধ্যে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কোরবানির ঈদের প্রধান জামাতে অংশ নিতে মুসল্লিরা ঈদগাহ ময়দানে আসেন। পল্টন মোড়, মৎস্য ভবন ও হাইকোর্টের সামনে তিনটি চেকপোস্ট পার হয়ে ঈদগাহ ময়দানে আসেন মুসল্লিরা।
ঈদ জামাতে প্রবেশের মুখে র্যাব-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তীক্ষ্ণ নজর রাখেন। ঈদ জামাতে আসা মুসল্লিদের তিন জায়গায় তল্লাশি করার পরই ঈদগাহে প্রবেশ করতে দেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
জাতীয় ঈদগাহে ছোট ছেলেকে নিয়ে ঈদের প্রধান জামাত পড়তে আসেন রাজধানীর খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা আবু সাঈদ। তিনি বলেন, সব সময় এলাকার মসজিদে ঈদের নামাজ পড়তাম। এবার ছেলের শখ পূরণ করতে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নামাজ পড়লাম। বৃষ্টির কারণে আসতে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। তবে বড় জামাতে ঈদের নামাজ পড়ার অনুভূতিই অন্যরকমন। এখানে এসে ঈদ আনন্দ বেড়ে গেছে।
বায়তুল মোকাররমে ৫টি জামাত
প্রতি বছরের মতো এবারও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ে পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম জামাত সকাল ৭টায়, তারপর এক ঘণ্টা পর পর তিনটি জামাত এবং পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।