আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আসা শুরু হয়েছে। আজ বৃস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ৩৮ মিনিটে বাংলাদেশের গ্রিডের সঙ্গে আদানির বিদ্যুৎ সংযুক্ত হয়। প্রাথমিকভাবে ২৫ মেগাওয়াট সরবরাহ করছে আদানি। দুটি ইউনিটের কেন্দ্রের ক্ষমতা এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে একটি ইউনিট উৎপাদনে এসেছে। অন্য ইউনিট চলতি বছরের শেষ দিকে উৎপাদনে আসার কথা রয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতের ঝাড়খণ্ডের আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট-১ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ৩৮ মিনিটের সময় বাংলাদেশ গ্রিডের সঙ্গে সিন্ক্রোনাইজ করে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। এই কেন্দ্রের বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য পিজিসিবি চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তবর্তী মনাকষা থেকে রহনপুর হয়ে বগুড়া পর্যন্ত ১৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ৪০০ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন এবং বগুড়ায় ৪০০/২৩০ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্র নির্মাণ করেছে। রাত ৯টা নাগাদ নবনির্মিত লাইন ও গ্রিড উপকেন্দ্রের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের পরিমাণ কমবেশি ৫০ মেগাওয়াট হবে।
পাওয়ার গ্রিড কম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (পিজিসিবি) মুখপাত্র এবিএম বদরুদ্দোজা সুমন বলেন, সন্ধ্যা থেকে আদানির বিদ্যুৎ বাংলাদেশের গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ২৫ মেগাওয়াট আসছে, পর্যায়ক্রমে এটি বাড়বে।
পিজিসিবি সূত্র বলছে, আদানির বিদ্যুৎ সঞ্চালন করার জন্য ভারত এবং বাংলাদেশ প্রান্তে যে গ্রিড লাইন রয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অংশের কাজ শেষ করেছে পিজিসিবি। পিজিসিবির তরফ থেকে পিডিবিকে আনুষ্ঠানিকভাবে লাইনটি বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রস্তত রয়েছে বলে জানানো হয়।
আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লার দাম, বিদ্যুতের সঞ্চালনসহ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে আগামী ১৩ মার্চ ভারতে যাবেন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) ও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা।
ঝাড়খন্ডের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি থেকে সঞ্চালনের জন্য মোট ২৪৪ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে ভারতে ১০৮ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশে ১৩৬ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন রয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির একটি ইউনিট থেকে ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসবে দেশে। আরেকটি ইউনিট উৎপাদনে আসলে আরো ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসবে এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে।