সরকারের চূড়ান্ত হিসাবে বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রতিবেদনের যাচাই-বাছাই শেষে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএস সোমবার জনশুমারি ও গৃহগণনার এই চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
গতবছর ২৭ জুলাই জনশুমারি ও গৃহগণনার যে প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিল, সেথানে জনসংখ্যা দেখানো হয়েছিল ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। সে হিসাবে চূড়ান্ত ফলাফলে জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৪৭ লাখ।
তার আগে ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের আদমশুমারি ও গৃহগণননায় দেশের জনসংখ্যা পাওয়া গিয়েছিল ১২ কোটি ৪৩ লাখ ৫৫ হাজার ২৬৩ জন।
২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ জুন সারা দেশে একযোগে জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম শুরু হয়। ২১ জুন সে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কয়েকটি জেলায় বন্যার কারণে তা ২৮ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে দেশের প্রথম শুমারিতে জনসংখ্যা পাওয়া গিয়েছিল ছিল ৭ কোটি ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ৭১ জন। ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দের শুমামিতে তা বেড়ে ৮ কোটি ৭১ লাখ ১৯ হাজার ৯৬৫ জন হয়।১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দের শুমারিতে জনসংখ্যা দাঁড়ায় ১০ কোটি ৬৩ লাখ ১৪ হাজার ৯৯২ জনে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেনের সভাপতিত্বে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মতিউর রহমানও উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে।