দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর নাম ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
আওয়ামী লীগ মনোনীত সাহাবুদ্দিন চুপ্পু একক প্রার্থী হওয়ায় সোমবার (১৩ ফেব্রুযারি) দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, রাষ্ট্রপতি পদে একজনই মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন। তার মনোনয়ন পত্র বৈধ থাকায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইনের ৭ ধারা অনুযায়ী, মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিষয়ে আজকেই প্রজ্ঞাপন জারির জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
এর আগে, রোববার রাষ্ট্রপতি হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ।
সংবিধান অনুয়াযী, রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ থেকে ৫ বছরের জন্য পদে অধিষ্ঠিত থাকেন। বর্তমান রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ এপ্রিল দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। সেই অনুযায়ী, তার ৫ বছরের মেয়াদ আগামী ২৩ এপ্রিল শেষ হবে।
পাবনার সন্তান মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর জন্ম ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দে। ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দে বিসিএস (বিচার) ক্যাডার হিসেবে যোগ দেন।
বিচারকের বিভিন্ন পদে চাকরি শেষে ২৫ বছর পর ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন। ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পরপরই আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর উপর হামলা হয়। যাতে হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের ঘটনা ঘটে। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে ওসব ঘটনার তদন্তে \কমিশন’ গঠন করেন, যার প্রধান ছিলেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।