দৈনিক শিক্ষায় প্রতিবেদন প্রকাশের পর দীপু মনি ও রতন সিন্ডিকেটের ফিরোজ আলমের বদলির আদেশ বাতিল হয়েছে। দীপু মনি-রতন সিন্ডিকেটের ফিরোজই শিক্ষা অধিদপ্তরের এ ডি! শিরোনামে গত ১৬ সেপ্টেম্বর দৈনিক শিক্ষায় প্রতিবেদন প্রকাশের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্তাদের টনক নড়ে। আজ সোমবার মাউশি অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) পদে সহকারী অধ্যাপক ফিরোজ আলমের বদলির আদেশ বাতিল করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ফিরোজ আলম বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার সমিতির শাহেদ-তানভির পরিষদের নির্বাহী সদস্য পদে লড়েছেন। ফিরোজ আলম তস্য জুনিয়র এবং ৩০তম বিসিএসের কর্মকর্তা এবং লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজে পদার্থবিদ্যা বিষয়ের শিক্ষক।
শিক্ষা ক্যাডারের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সরকার যখন শত শত ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছিল, তখন তানভীর-ফিরোজ আলমরা ছাত্রদের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছিলেন। সে সময় ফিরোজ আলমের সাবেক কর্মস্থলের (লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ) ছাত্ররা তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।
একজন কর্মকর্তা বলেন, ফিরোজ আলম জ্যেষ্ঠতা ও যোগ্যতার দিক থেকে অনেক পিছিয়ে। তার পদটির জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণও নেই। তারপরও তাকে মাউশির একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করা হয়েছে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা সভায় বসেছেন। তারা এ ধরনের পদায়ন বন্ধের জন্য দাবি জানাবেন। এর আগে এই পদে থেকে রূপক রায় ও তানভীর ক্যাডারের সিনিয়রদের সঙ্গে বেয়াদবি করেছেন। দীপু ও রতনের ক্যাশিয়ার ছিলেন রূপক রায়। রূপক ও তানভীর যে কতটা বেয়াদব তা তারা নিজেরাই জানেন না।
এমন মন্তব্য শিক্ষা ক্যাডারের সিনিয়র কর্মকর্তা ও এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের। হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান রূপক ও তানভীর শিক্ষা ভবনে নানা কাজে আসা দর্শনার্থীদের সঙ্গে বেয়াদবি করাকে পূণ্যের কাজ মনে করতেন। শিক্ষা ক্যাডারের চাকরি করেও বেসরকারি রতন ও অমিতের পদলেহন করতেন রূপক ও তানভীর। একই গ্রুপের ও চরিত্রের ফিরোজ আলমকে একই পদে দেওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন শিক্ষা ভবন সংশ্লিষ্টরা।