শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক উমর আলির বিরুদ্ধে চায়ের ও ভাজা-পোড়ার দোকানে খেয়ে বিল না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় বাকি খেয়ে পরিশোধ করেননি এই শিক্ষক। যদিও সরকার পরিবর্তনের পর সেই বিল তিনি পরিশোধ করেছেন বলে দাবি করেন।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক উমর আলি ছাত্রলীগের নেতা থাকা অবস্থায় প্রায়শই বাকি খেতেন হলের দোকানগুলোতে। বিভিন্ন মিছিল মিটিং শেষে তার অনুসারীদেরও বাকি খাওয়াতেন তিনি। এভাবে শেরেবাংলা হলের সামনের ভাজা-পোড়ার দোকানে প্রায় ৩৫-৪০ হাজার টাকা এবং চায়ের দোকানে প্রায় ১০ হাজার টাকা বাকি খান তিনি। তবে শিক্ষক হওয়ার দীর্ঘদিন পরেও তা পরিশোধ করেননি।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাইনিং-ক্যান্টিনের খাবারের মান ভালো ও মূল্য নির্ধারণ করতে গেলে পূর্বের বাকি খাওয়ার বিষয়ে মুখ খোলেন ভাজা-পোড়া ও চায়ের দোকানি। তবে এরপরই বাকি টাকা পরিশোধ করেছেন এই শিক্ষক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভাজা-পোড়ার দোকানি রিপন এবং চায়ের দোকানি মান্নান বলেন, ছাত্রলীগ করার কারণে ভয়ে টাকা চাইতে পারেননি তারা। আগে একবার টাকা চাইলে মাত্র ৫০০ টাকা দিয়েছিল।
এমন অভিযোগের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক উমর আলি মল্লিক বলেন, আমার নামে এত বাকি হয়েছে আমি জানতাম না। রাজনীতি করলে কিছু লোকবল থাকে। তারাই আমার নাম বলে ওখানে বাকি করে খেয়েছে। আমি জানতে পারার সাথে সাথে তাকে টাকা পরিশোধ করে দেই।
এতদিন পর কীভাবে জানতে পারলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, দোকানিরা ভয়ে আমাকে বাকির বিষয়ে কিছু বলেননি আগে। এখন আমি জানার পরই তাদের বাকির টাকা পরিশোধ করেছি।