দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি থাকলেও দেশে টাকার অভাব নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান। তিনি বলেছেন, মানুষ আনন্দ-উৎসবে প্রচুর অর্থ খরচ করছে। এমনকি বিরোধী দল সভা-সমাবেশ ও আন্দোলনের নামে অর্থ খরচ করছে, তাতে মনে হয় না টাকার অভাব আছে।
আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর আয়োজনে কার্ডধারী জেলেদের মধ্যে বিকল্প কর্মসংস্থানের অংশ হিসেবে বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শাজাহান খান আরও বলেন, ‘মানুষ এখন অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল নেই। আমরা দেখতে পাচ্ছি, মানুষ যেভাবে আনন্দ–উৎসবে খরচ করছেন, তাতে মনে হয় না দেশে টাকার কোনো অভাব আছে। মানুষের হাতে কিন্তু টাকা আছে।’
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি শাজাহান খান বলেন, ‘মানুষ একসময় লোকাল বাসে চলাচল করত। এখন মানুষ ভালো বাসে যাতায়াত করে। চেয়ার কোচ ছাড়া মানুষ আর বাসে ওঠে না। মাদারীপুরের একসময় ৫২ সিটের বাসে লোকজন উঠত। এখন ৫২ সিটের গাড়ি নেই বললেই চলে। এখন এসি গাড়ি চলে। এসবের জন্য টাকা বেশি লাগে। এ ছাড়া বিমানের সংখ্যাও দেশে প্রচুর বেড়েছে। মানুষের কাছে টাকার চেয়েও সময়ের মূল্য এখন বেশি।’
সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘অর্থনৈতিকভাবে দেশ এভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। তা ছাড়া মাদারীপুর দেশের মধ্যে তৃতীয় ধনী জেলা। জেলায় শিল্প–বাণিজ্যে নয়, রেমিট্যান্সের দিক থেকে আমরা ধনী। সুতরাং আমাদের এখানেও টাকাপয়সার কোনো অভাব আছে বলে আমি মনে করি না।’
মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান বলেন, যুদ্ধ ও করোনার কারণে দ্রব্যমূল্য ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দ্রব্যমূল্য সহনশীল রাখতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। দ্রব্যমূল্য কমানো নিয়ে শ্রমিকেরা দাবি তুলেছেন। এবারের বাজেটে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে মতামত দেওয়া হবে, কীভাবে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। কর ও ভ্যাট মওকুফ করে হলেও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে সরকার ব্যবস্থা নেবে।
অনুষ্ঠানে মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাইনউদ্দিন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান খান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বাবুল কৃষ্ণ ওঝা, সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তপন কুমার মজুমদার, এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মশিউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।