আদালত প্রতিবেদক : রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ছাত্রীকে প্রলোভন ও জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে মামলায় প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ।
মামলাটি দায়েরে তথ্যগত ভুল হয়েছে উল্লেখ করে আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই সোহেল রানা ঢাকার চিফ চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
কয়েকদিন আগে প্রতিবেদনটি দাখিল করলেও মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) মামলার ধার্য তারিখে বিষয়টি জানা যায়।
গুলশান থানার আদালতে সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা তাহমিনা জানান, থানার চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি নথিভুক্ত হয়েছে। মামলার পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এ মামলাটি পাঠানো হবে।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এ আত্মসমর্পণ করে জামিন পান মুশতাক আহমেদ। এর আগে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান মুশতাক আহমেদ। উচ্চ আদালত তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
গত ১ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এ ভিকটিমের বাবা এ মামলাটি দায়ের করেন। ওইদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে গুলশান থানার ওসিকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ভিকটিম রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। আসামি মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে কলেজে আসতো এবং ভিকটিমকে ক্লাস থেকে প্রিন্সিপালের কক্ষে ডেকে আনতো। খোঁজ-খবর নেয়ার নামে আসামি ভিকটিমকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে প্রলুব্ধ করতো। কিছুদিন পর আসামি মুশতাক ভিকটিমকে কু-প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় ভিকটিমকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোর পূর্বক বিয়ে এবং তাকে ও তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করবে বলে হুমকি দেয়।
মামলায় আরও বলা হয়, ভিকটিম এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু অধ্যক্ষ কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো আসামিকে সময় ও সঙ্গ দিতে বলেন।
এ বিষয়ে ভিকটিমের বাবা অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীর কাছে প্রতিকার চাইলে তিনি কোন সহযোগিতা না করায় গত ১২ জুন ভিকটিমকে ঠাকুরগাঁওয়ের তার বাড়িতে নিয়ে যান।
বাদী অভিযোগ করেন, আসামি মুশতাক তার লোকজন দিয়ে ভিকটিমকে সেখান থেকে অপহরণ করে ভিকটিমকে একেক দিন একেক স্থানে রেখে অনৈতিক কাজে বাধ্য করেছে এবং যৌন নিপীড়ন করছে।