ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সোহেল উদ্দীন প্রিন্স।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ এ আত্মসমর্পন করে জামিন চান তিনি। তার জামিনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে জামিন আবেদন না মঞ্জুরের আবেদন করা হয়।
শুনানি শেষে সংশ্লিষ্ট আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক সাবেরা সুলতানা খানমের আদালত ৫ হাজার টাকার মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন।
সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেসমিন আক্তার জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ভুক্তভোগী ওই নারীও একজন সরকারী কর্মকর্তা। পরিচয়ের সুবাদে এএসপি সোহেল উদ্দীনের সাথে তার বিয়ের কথা হয়। ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ৪ ফেব্রুয়ারি সোহেল উদ্দীন বাদীকে রমনা পুলিশ অফিসার্স মেসে আসতে বলে। সেখানে তার আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত থেকে কাজীর মাধ্যমে বিবাহ হবে বলে জানায় ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
বাদী ওইদিন সন্ধ্যা সাত টায় তার আত্নীয়-স্বজনসহ রমনা পুলিশ অফিসার্স মেসে উপস্থিত হয়ে সোহেল উদ্দীন ছাড়া আর কাউকে দেখতে না পেয়ে প্রশ্ন করলে আসামি জানায়, কিছুক্ষণের মধ্যে সবাই এসে যাবে। বাদী সরল বিশ্বাসে আসামির সঙ্গে কথা বলতে থাকে। কথাবার্তার একপর্যায়ে সোহেল বাদীকে খুন করার ভয় দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে ধর্ষণ করে।
২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ নভেম্বর সোহেল উদ্দিন প্রিন্সের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে ঢাকার আদালতে মামলাটি দায়ের করেছিলেন ওই নারী। ওই সময় আদালত মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
গত ২৫ জুলাই বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন আমলে গ্রহণ করে সোহেল উদ্দীন প্রিন্সের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। সোহেল উদ্দিন প্রিন্স বর্তমানে বরখাস্ত আছেন। তিনি ৩৬তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে পুলিশে যোগ দেন।