কুড়িগ্রামের রাজীবপুরে এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে রিমন মিয়া (১৯) নামের এক তরুণের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে গত ১৭ নভেম্বর রাজীবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। তবে প্রতিকার না পেয়ে বিচারের দাবিতে আজ বুধবার সকাল ১১টায় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন ওই শিক্ষার্থী। উপজেলার সদর ইউনিয়নের জাউনিয়ারচর জালচিরাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, দুই বছর আগে রাজীবপুর সদর ইউনিয়নের জাউনিয়ারচর জালচিরাপাড়ার বাসিন্দা রিমন মিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে তার। সম্পর্কের একপর্যায়ে ওই শিক্ষার্থীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন রিমন। দুই-তিন মাস আগে ঘটনাটি জানাজানি হলে বিয়ের সম্মতি দেন রিমনের মা ভানু বেগম। তবে অভিযুক্তের মা শুরু করেন নানা টালবাহানা।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ওই শিক্ষার্থীর বিয়ের প্রস্তাব এলে তা ভেস্তে দেন রিমনের মা ভানু বেগম ও প্রতিবেশী জুরান আলী। এছাড়া অভিযুক্তকে গোপনে দেশের বাইরে পাঠানোর পাঁয়তারা করা হয়।
ভুক্তভোগীর বাবার অভিযোগ করেন, মেয়ের সঙ্গে এমন ঘটনার প্রতিকার চেয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন তিনি। এতে কোনো প্রতিকার মেলেনি তার। এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
অভিযুক্ত রিমন মিয়ার মোবাইল ফোনে কল করলে রিসিভ করেন বড় ভাই এমদাদুল হক। তিনি বলেন, রাজীবপুর থানার ওসি মোজাহারুল ইসলাম ঘটনাটি মীমাংসা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
রাজীবপুর থানার ওসি মোজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে ঘটনাটি মীমাংসা করে দেবেন এমন আশ্বাসের কথা অস্বীকার করেন তিনি।