আজ ৯ মে (মঙ্গলবার) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
সকাল ১১টায় জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর অসুস্থ থাকায় তাঁর অনুপস্থিতিতে চারুকলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম জাতীয় পতাকা ও কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মুশাররাত শবনম বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন। এরপরে পায়রা অবমুক্ত করে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।
শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাস্কর্যের পাদদেশে গিয়ে জমায়েত হয়। পরে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা পরিষদের পক্ষ থেকেও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ভাস্কর্যেও আরেকদফা পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চারুকলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম, কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মুশাররাত শবনম, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন ও প্রক্টর প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. রিয়াদ হাসান, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবদুল হালিম, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক রামিম আল করিম, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবুসহ অন্যরা।
সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাপনী বক্তব্য দেন চারুকলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম। স্বত:স্ফূর্তভাবে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করায় সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় কবির নামে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়। কবি নজরুল নামাপাড়া গ্রামের যে বট গাছের নিচে বাঁশি বাজাতেন সেই বটতলার কাছেই ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দের ৯ মে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়টি উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অগ্রসরমান বিশ্বের সঙ্গে সংগতি রক্ষা ও সমতা অর্জন এবং জাতীয় পর্যায়ে উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা, বিশেষ করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধুনিক জ্ঞান চর্চা ও পঠন-পাঠনের সুযোগ সৃষ্টি ও সম্প্রসারণের রূপকল্প নিয়ে কাজ করছে। চারটি বিভাগ দিয়ে যাত্র শুরু করা হলেও বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এখন বিভাগের সংখ্যা ২৪।