গুচ্ছভুক্ত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফলে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছে। ভর্তিইচ্ছুদের অভিযোগ, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি মেধা তালিকার পেছনে থাকা শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য মনোনীত হলেও বাদ পড়েছে সামনে থাকা শিক্ষার্থী।
জানা যায়, গত ১৩ই জানুয়ারি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিজ্ঞপ্তিতে ১৫ ও ১৬ তারিখে সাক্ষাৎকারের জন্য তারিখ দেয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে সাক্ষাৎকারের জন্য নির্দিষ্ট তালিকা প্রকাশ না করায় অসংখ্য ভর্তিচ্ছু আসে সাক্ষাৎকারের জন্য। তাদের সামাল দিতে কিছুটা হিমশিমও খেতে হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। ১৭ তারিখে ফাঁকা আসনে ভর্তির জন্য ফলাফল প্রকাশ করলে একাধিক শিক্ষার্থী আশাহত হয়ে পড়েন। তারা দেখতে পায়- তাদের পেছনের মেধাতালিকা থেকে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছে। কিন্তু তাদের সকল শর্ত পূরণ ও সাক্ষাৎকারে উপস্থিত থেকেও তাদের নাম তালিকায় নেই।
মো. রায়হান রাসেল নামের এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলে, ‘আমি ‘বি’ ইউনিটে সাক্ষাৎকার দিয়েছি এবং সিগনেচারও করেছি। আমার পজিশন ১১৮১ ছিল। ফলাফল প্রকাশের পরে দেখি আমার পরে থেকে অনেকের চান্স হলেও আমার চান্স হয়নি।
সর্বশেষ ১২৯২ পজিশন যার, তারও নাম এসেছে। কিন্তু আমার নাম আসেনি। আমি আমার ন্যায্য প্রাপ্তি আশা করি। এই অনিয়মের সুষ্ঠু তদন্ত করে এগিয়ে থাকা পজিশনধারীদের মনোনীত করা হোক।’
লামিয়া ইসলাম চাঁদনি নামের এক ভর্তিইচ্ছুকের একই রকমের অভিযোগ রয়েছে। ‘বি’ ইউনিটে তার পজিশন ১২৩৯ থাকা সত্ত্বেও তার নাম মেধাতালিকায় আসেনি বলে জানান। ভর্তি প্রক্রিয়ায় স্বজনপ্রীতি হয়েছে বলেও অভিযোগ করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী। এদিকে মনোনীতদের চূড়ান্ত ভর্তির তারিখ দেয়া হলে অনেকেই চূড়ান্তভাবে ভর্তি হচ্ছে। এর সঠিক সুরাহা না পেয়ে আন্দোলন করেছে ভুক্তভোগী ভর্তি-ইচ্ছুকরা। তারা এই অনিয়ম মানতে নারাজ। সুষ্ঠু ভর্তি কার্যক্রম চেয়ে ও নিয়ম বহির্ভূত ভর্তি স্থগিত চেয়ে প্রশাসনিক ভবনের নিচে আন্দোলন করে তারা।
তবে এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। ভর্তি কমিটির সঙ্গে মিটিং করে শিগগিরই একটি সমাধান বের করার চেষ্টা করবো।’
উল্লেখ্য, ভুক্তভোগীদের কাছে থেকে লিখিত আবেদনপত্র জমা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।