আজ রোববার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংসদ অধিবেশনে কণ্ঠভোটে সর্বসম্মতিক্রমে এ বাজেট পাস হয়।
বড় ধরণের কোনো পরিবর্তন ছাড়াই ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’ স্লোগান নিয়ে পাস হয়েছে নতুন অর্থবছরের জাতীয় বাজেট। দেশের ৫৩তম এই বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা।
গত ৬ জুন জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত এ বাজেটে খুব একটা পরিবর্তন আসেনি। আগামীকাল ১ জুলাই থেকেই বাজেট কার্যকর শুরু হবে।
বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। এনবিআর বহির্ভূত কর থাকছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। আর কর ব্যতীত প্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা।
অন্যদিকে সামগ্রিক বাজেটে ঘাটতি দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকার যোগান দেয়া হবে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণে। এরমধ্যে বিদেশি উৎস থেকে নেয়া হবে ৯০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ উৎস ব্যাংক ও সঞ্চয়পত্র থেকে এক লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। এরমধ্যে ব্যাংক থেকে এক লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ২৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ও সঞ্চয়পত্র থেকে নেয়া হবে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
এবারের বিশাল এই বাজেটের ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে ১৫টি খাতে। নতুন বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার।
এদিকে শনিবার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে সংসদ অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী তার বক্তব্যে এবারের বাজেটে কিছু নীতি সংশোধনের প্রস্তাব তুলে ধরেন। পরে সংসদ সদস্যদের কণ্ঠভোটে পাস হয় অর্থবিল।
এবারের বাজেটে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিনিয়োগে কর অব্যাহতির সুবিধা বহাল থাকছে। একইসঙ্গে ব্যক্তি শ্রেণির সর্বোচ্চ আয়কর ৩০ শতাংশের বদলে ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এর বাইরে, বড় কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। এছাড়া সমালোচনার মধ্যে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হলেও পরিবর্তন আসছে না চূড়ান্ত বাজেটে।