নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১০ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) সামনে এ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। এতে প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী ও অভিভাবক অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীদের পিছিয়ে দিচ্ছে এবং আগের সৃজনশীল শিক্ষাব্যবস্থার তুলনায় কম কার্যকর। শিক্ষার্থীরা নতুন কারিকুলামের কারণে বই পড়ার আগ্রহ হারাচ্ছে এবং বিভিন্ন ধরনের ডিভাইসে আসক্ত হচ্ছে। মেধা যাচাইয়ের জন্য কোনও পরীক্ষা নেই, মূল্যায়ন পদ্ধতিও যথাযথ নয়। সাংকেতিক চিহ্ন দিয়ে শিক্ষার্থীদের মেধা মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়। সরকার এই শিক্ষাক্রম হঠাৎ করে চাপিয়ে দিয়েছে, যার জন্য কোনও পূর্বপ্রস্তুতি ছিল না। এভাবে শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস হতে দেওয়া যাবে না, তাই নতুন সরকারকে শিক্ষাব্যবস্থা পুনর্গঠনের আহ্বান জানানো হয়।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া অভিভাবক শায়লা আহমেদ বলেন, সঠিক মূল্যায়ন না থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় আগ্রহ হারাচ্ছে। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীরা কিছুই শিখছে না। এ শিক্ষাব্যবস্থা উন্নত দেশের জন্য হলেও, এ দেশের শ্রেণীকক্ষগুলোতে ৬০ থেকে ৯০ জন শিক্ষার্থী থাকে, যেখানে একজন শিক্ষকের পক্ষে সঠিকভাবে শিক্ষা দেওয়া কঠিন। গ্রামীণ এলাকার অবস্থা আরও খারাপ। তাই ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে শিক্ষাব্যবস্থাকে শিক্ষার্থীবান্ধব করতে হবে।
অভিভাবক সানজিদা সুলতানা অভিযোগ করেন, বর্তমানে যেসব বই আছে, সেগুলোতে পড়ার মতো কিছু নেই। এভাবে শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষার্থীদের ধ্বংস করা হচ্ছে। আগের সৃজনশীল পদ্ধতির শিক্ষাব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার দাবি জানান তিনি।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা জানান, তারা নতুন শিক্ষাক্রম কিছুই বুঝতে পারছে না এবং তাদের শিক্ষকেরাও তা বোঝেন না। তারা এমন একটি শিক্ষা কারিকুলাম চায় যা শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবার জন্য উপযোগী হবে।