শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নতুন শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীদের দক্ষ ও মানবিক মানুষ হতে শেখাবে। যে পদ্ধতিতে পাঠদান করা হয় তা রূপান্তর করা না হলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা পারব না। এবার যে বই গেছে সেখানে বলা আছে, পরীক্ষামূলক সংস্করণ। এরপরও অনিচ্ছাকৃত ভুল থাকতে পারে।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে চাঁদপুর প্রেসক্লাবে নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে কথা হচ্ছে। আমরা শুধু মুখস্থ করেছি। কাজে লাগাতে পারিনি। কিন্তু নতুন শিক্ষাক্রমে শেখানোর পদ্ধতিতে পরিবর্তন আসবে। প্রতিটি শিক্ষার্থী করে করে শিখবে। শেখাটা যেন হয় আন্দময়, পরীক্ষা ভিতি যেন না আর থাকে সেই রূপান্তরটা করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞান বইয়ে যে ভুল হয়েছে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা যৌথ বিবৃতি দিয়েছে। এরপরও কোনো বিষয়ে নজরে এলে আমাদের জানাবেন। আমরা সংশোধন করবো। নবম দশম শ্রেণির বই নিয়ে কথা হয়েছে। এই বইগুলো নতুন শিক্ষাক্রমের বই নয়। যে তিনটি বিষয়ে ভুল আছে বলা হচ্ছে সেগুলো ২০১৩ সাল থেকেই আছে। তার মানে সবাই ভালো করে পড়ছেন। এটি ভালো বিষয়। এ বছর শনাক্ত হয়েছে। আমরা সংশোধন করে দিচ্ছি।
দীপু মনি বলেন, পড়াশোনা আর চার দেয়ালে সীমাবদ্ধ থাকবে না। নতুন শিক্ষাক্রম তৈরি হয়েছে শিক্ষার্থীদের নতুন কিছু জানাতে ও শেখাতে, যা তাদের নতুন চিন্তাধারার পথ দেখাবে।
অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, চাঁদপুরের শিল্পপতি এম এন মুরাদ খানকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওচমান গণি পাটওয়ারী, পৌর মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান উপস্থিত ছিলেন।