নবম গ্রেড ও শতভাগ পদোন্নতির দাবি জানিয়েছেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসাররা (এটিইও)। তাদের দাবি, মাঠ পর্যায়ের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা। সরকারের যে কোনও নির্দেশনা, সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, তদারকি করেন তারা। কিন্তু বিপুল সংখ্যক এই কর্মকর্তাদের বঞ্চিত ও বৈষম্যের মধ্যে রেখে গুণগত প্রাথমিক শিক্ষা সম্ভব নয় বলেও দাবি করেন তারা। শিক্ষার মূলভিত্তি মজবুত করতে এবং মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে কাক্সিক্ষত ৯ম গ্রেড প্রদান এবং শতভাগ পদোন্নতির দাবি জানিয়েছেন এটিইওরা।
শনিবার (৬ মে) রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে করণীয় ও প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তারা এসব কথা বলেন।বাংলাদেশ সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার এসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ এস রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. সালাহ উদ্দিন আহমেদ এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দেশের বিভিন্ন উপজেলা হতে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সাধারণ সম্পাদক মো. সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের গঠনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ৪টি ভিত্তি উল্লেখ করেছেন। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনোমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি। এসব ভিত্তির বাস্তবায়নে প্রাথমিক শিক্ষার ভূমিকা অপরিসীম। যেহেতু সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারবৃন্দ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক কাজের সাথে ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত সেহেতু আমরা প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের ম্যাসেজ ও তাদেরকে উদ্বুদ্ধকরণে ভূমিকা রেখে যাচ্ছি।
সভাপতি এম এ এস রবিউল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া প্রাথমিক শিক্ষার ভিত্তি। তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। তার সেই স্বপ্নকে সামনে এগিয়ে নেয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারবৃন্দ। ২০৪১ খ্রিষ্টাব্দের স্মার্ট বাংলাদেশের যারা নেতৃত্ব দিবেন তাদেরকে মানসম্মত ও যুগোপযোগী শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। আমরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষদের মাঝে মা সমাবেশ, অভিভাবক সমাবেশ, উঠান বৈঠকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের মূল বার্তা ও আমাদের করণীয় সম্পর্কে উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছি। তবে এসব কর্মকর্তাবৃন্দ নানাভাবে বৈষম্যের শিকার। চাকরিজীবী জীবনে একটিও পদোন্নতি না পেয়ে অবসর গ্রহণ, দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রেডে চাকরি করাসহ নানা বিষয় রয়েছে।
বিশেষ করে ৯ম গ্রেড ও শতভাগ পদোন্নতির সুযোগ না থাকায় অনেকের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার ভিত্তিকে মজবুত করতে এসব বিষয়ে সমাধানে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান রবিউল ইসলাম। সভায় বাংলাদেশ সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন জেলা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার তৌহিদুর রহমানকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।