নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ৩ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাঁচরুখী বাজার এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত তিন পুলিশ সদস্য হলেন- পরিদর্শক হুমায়ুন কবির, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. মতিন ও কনস্টেবল মো. নুরুল।
নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আবির হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কনস্টেবল নুরুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। পরিদর্শক হুমায়ুন কবিরের ডান হাত কুপিয়ে জখমের পর পিটিয়ে বাঁ হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এএসআই মতিনকে লাঠি ও ইটপাটকেল দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।
নুরুলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং বাকি দুজনকে রূপগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখান থেকে পরিদর্শক হুমায়ুন কবিরকে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপি-জামায়াতের তিন দিনের অবরোধের সমর্থনে সকাল সাড়ে আটটার দিকে কয়েকশ নেতাকর্মী নিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মিছিল করেন বিএনপি। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা বাঁশের লাঠি হাতে গাছের গুঁড়ি, আরসিসি খুঁটি ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। পুলিশ বাধা দিলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে। অবরোধকারী নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়েন। একপর্যায়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা একজোট হয়ে পুলিশকে ধাওয়া দেন। তিনজন পুলিশ সদস্যকে তারা ধরে ফেলেন। পরে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেন।
এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে যোগ দেন। থানা থেকে আরও পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে এলে বিএনপির নেতাকর্মীরা সড়ক ছেড়ে চলে যান।
সংঘর্ষের সময় ঢাকা-নরসিংদী সড়কে চলাচলকারী অন্তত তিনটি বাস ভাঙচুর করেন অবরোধকারীরা। প্রায় দেড় ঘণ্টা সংঘর্ষের পর পুলিশের চেষ্টায় সড়কে যান চলাচল শুরু হয়।
জেলা পুলিশ জানিয়েছে, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।